ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে খাদ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২২, ১১:৫৯ এএম | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২, ১২:০১ পিএম

ইউক্রেন হচ্ছে পঞ্চম বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ। ছবি : বিবিসি

ইউক্রেন হচ্ছে পঞ্চম বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ। ছবি : বিবিসি

ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে খাদ্যের দাম ৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

সংস্থাটি বলছে, এটা স্পষ্ট নয় যে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন এবার ফসল তুলতে পারবে কিনা, তাছাড়া রুশ খাদ্য রপ্তানি নিয়েও উদ্বেগ আছে।

এফএও’র এর মূল্যায়নে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে শীতকালে উৎপাদন হওয়া ২০ থেকে ৩০ শতাংশ খাদ্যশস্য সিরিয়াল, ভুট্টা ও সূর্যমুখীর বীজ ২০২২/২৩ মৌসুমে হয়তো এবার বপন করাই হবে না, অথবা ফসল তোলা যাবে না।

রাশিয়া হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গম রপ্তানিকারক দেশ; অন্যদিকে ইউক্রেন হচ্ছে এক্ষেত্রে পঞ্চম বৃহত্তম। সব মিলিয়ে এ দুটি দেশ বিশ্বের যবের সরবরাহের ১৯ শতাংশ, গমের ১৪ শতাংশ ও ভুট্টার ৪ শতাংশ যোগান দেয়।

এফএও’র মহাসচিব এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিশ্বে প্রধান খাদ্যশস্য রপ্তানি করা দুই মুখ্য দেশের কৃষিকাজ যুদ্ধের কারণে বিঘ্নিত হলে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে। বিশ্বের বহু স্বল্পন্নোত দেশসহ ৫০টি দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের গম সরবরাহের ওপর ৩০ শতাংশ কিংবা তার বেশি নির্ভরশীল হওয়ায় বিশেষত, তারাই ঝুঁকির মুখে আছে।

খাদ্যশস্য সরবরাহ বিঘ্নিত হলে খাবার ও ভোজ্যপণ্যের দাম ৮ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

সংস্থাটি আরো বলছে, ইউক্রেনে সংঘাতের কারণে পৃথিবীতে অপুষ্টিতে ভোগা লোকের সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল, সাব-সাহারা আফ্রিকা, প্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং উত্তর আফ্রিকায়। -বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh