হিলি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২২, ১২:৪৫ এএম
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানি
পবিত্র শবে বরাত ও তিন দিন বন্দর বন্ধ থাকায় বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বন্দর দিয়ে একদিনে দুই হাজার ১৭৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। একে রেকর্ড পরিমাণ বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এতে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ২-৩ টাকা করে। একদিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০-২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন তা কমে ১৮-২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ একদিন আগেও ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, এখন তা কমে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক ও গুজরাট নগর জাতের পেঁয়াজ ২৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও, এখন তা কমে ২৩-২৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে হিলির খুচরা বাজারেও কমেছে দাম।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম তো বেড়েছে। সেখানে পেঁয়াজের দাম কমলো। দুদিন আগেও বাজার থেকে ১৬-২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে সেই ১৪-১৬ টাকা কেজি দরে কিনেছি।
সোহেল রানা নামে এক বিক্রেতা বলেন, বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ এসেছে। বাজারেও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে প্রতিদিনই দাম কমছে। তবে আমরা যে দামে কিনে বিক্রি করছি, সব পেঁয়াজ বিক্রি না হতেই বাজার কমে যাচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৪-১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত একদিনে ৭৭ ট্রাকে দুই হাজার ১৭৬ টন পেঁয়াজ আমদানির রেকর্ড হয়েছে। এসব পেঁয়াজ যাতে কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত খালাস করা যায় সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।