তামাক কর বৃদ্ধির দাবি কাজী ফিরোজের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২২, ০৯:০৩ পিএম

কাজী ফিরোজ রশিদ

কাজী ফিরোজ রশিদ

তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাক-কর ও দাম বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ।

আজ সোমবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কলাবাগানে নিজ কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এক প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে কাজী ফিরোজ রশীদ, এমপি এ কথা বলেন। 

প্রতিনিধি দলে ছিলেন- ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভী ও প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনি। প্রতিনিধি দল কাজী ফিরোজ রশিদ, এমপিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়েছে। সরকারের তামাকবিরোধী নানাবিধ কার্যক্রমের ফলে তামাক ব্যবহার ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ১৮.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। স্বল্প সময়ে তামাকের এই ব্যবহার হ্রাস সরকারের সাফল্যের স্বাক্ষর বহন করলেও বাংলাদেশে এখনও ৩৫.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন, ধূমপান না করেও প্রায় ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিভিন্ন পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তামাক ব্যবহারের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। একারণে আমি মনে করি তামাকের কর বাড়িয়ে মূল্য বৃদ্ধি করে তা ভোক্তার ক্রয়সীমার বাইরে নিয়ে গেলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমানো সম্ভব।

এজন্য কাজী ফিরোজ রশীদ তিনটি প্রস্তাব সুপারিশ করেন- সকল সিগারেট ব্রান্ডে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬৫%) মূল্যস্তরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা, ফিল্টারযুক্ত ও ফিল্টারবিহীন বিড়িতে অভিন্ন করভারসহ (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৪৫%) সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ (সম্পূরক) শুল্ক প্রচলন করা এবং জর্দা এবং গুলের কর ও দাম বৃদ্ধিসহ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক চূড়ান্ত খুচরা মূল্যের ৬০%) প্রচলন করা।

এই প্রস্তাব ও সুপারিশসমূহ বাস্তবায়িত হলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে বিশ্বাস করেন বলে জানান কাজী ফিরোজ রশীদ।

প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কে আসন্ন বাজেট অধিবেশনে কাজী ফিরোজ রশিদের সমর্থন চান। তিনি প্রতিনিধি দলকে তাদের কার্যক্রমের জন্য সাধুবাদ জানান ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh