ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৪:০২ পিএম
আমির খান
করোনাভাইরাস মহামারির আগে ও পরে। শত শত মানুষের জীবনে পরিবর্তন এসেছে। বদলে গেছে চিন্তাভাবনা। বদলেছে সমগ্র বিশ্ব। সেই প্রভাব থেকে বঞ্চিত হননি বলিউড তারকা আমির খানও।
দুই বছর আগে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, চলচ্চিত্র জগৎ থেকে অবসর নিয়ে নেবেন। ছেড়ে দেবেন অভিনয়, পরিচালনা, প্রযোজনা। ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ হিসেবে তার শেষ কাজ হবে ‘লাল সিং চাড্ডা’।
কিন্তু ছবি মুক্তির আগে সে সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে চাননি আমির। তার ধারণা হয়েছিল, তাতে মানুষের মনে হবে এই ঘোষণা আসলে তার ব্যবসা করার ফন্দি।
সেই সিদ্ধান্তের কথা আমির জানান তার পরিবারকে। এতো বছর যেই মানুষগুলোর সাথে তিনি সময় কাটাতে পারেননি, তাদের জন্যই এই সিদ্ধান্ত তার। অবসর নিয়ে পরিবারকে সময় দেবেন। এমনই ভেবেছিলেন আমির।
কিন্তু সাবেক স্ত্রী কিরণ রাও থেকে শুরু করে মেয়ে ইরা খান, কেউ তার সিদ্ধান্তে খুশি হননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির তাদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানান। যে সময়ে প্রথম পক্ষের মেয়ে ইরাকে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা বলেন, তখন ইরার উত্তর ছিল, ‘গত তিন মাসে আমাদের সাথে যতটা সময় কাটিয়েছ, আমার সারা জীবনে এত সময় দাওনি। তাই আলাদা করে আর অবসর নিও না।’
তারপরে মস্করা করে নিজের বাবাকে বলেছেন, ‘আর পারছি না তোমায় নিতে।’
মেয়ের মানসিক অবসাদের কথা উল্লেখ করে আমির বলেন, ‘ইরা এখন ২৩ বছরের। সারা জীবনে তার নানাবিধ মানসিক সমস্যা হয়েছে। কিন্তু আমাকে কখনোই সেভাবে পায়নি ইরা। আমার পরিচালকদের স্বপ্ন, ভয়, আতঙ্কের কথা জানি আমি। কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন, ভয়, আতঙ্কের কথাই জানিনি কোনোদিন। এত বছর পরে সে সব জেনেছি।’
অন্যদিকে কিরণ এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে চোখের জল ফেলেন। তার কথায়, ‘যখনই তোমাকে দেখি, তোমার ভিতরে সিনেমাকে দেখতে পাই। তোমার রক্তে সিনেমা।’ কিরণ এভাবেই আমিরকে নিজের সিদ্ধান্ত বদলের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন।
সফল হন আমিরের পরিবারের সদস্যরা। নিজের সিদ্ধান্ত বদল করেছেন আমির। এখনই অবসর নেবেন না তিনি। তবে এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’র তকমা মুছে ফেলতে চান তিনি। নিজেকে নিখুঁত বলে মনে করেন না আমির।
কোভিডের জন্য একাধিকবার পিছিয়ে এখন স্থির হয়েছে, আগামী ১১ আগস্ট ‘লাল সিং চাড্ডা’ মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে। আমির, কারিনা কাপুর, নাগা চৈতন্য, মোনা সিং অভিনীত এই ছবির গল্প ধার করা হয়েছে হলিউড অভিনেতা টম হ্যাঙ্কসের ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’ থেকে। -আনন্দবাজার পত্রিকা