ডিবি পরিচয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৫:৩৫ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান

রাজধানীর আজিমপুরের ভাড়া বাসা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২৬ মার্চ) রাত ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

ওই শিক্ষার্থীর নাম আশিকুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি আশিকুর ফটোগ্রাফিও করতেন।

আশিকুরকে যে বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে সেটি একটি ফ্যামিলি বাসা। ওই বাসায় পরিবার নিয়ে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মহসিন। ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মহসিন বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে চারজন আমাদের বাসায় আসে। এরপর তারা বাসার সবার ইলেকট্রনিকস ডিভাইস জমা দিতে বলে। আমরা সবাই জমা দিয়ে দিই। কিছুক্ষণ পর একজন বলে হ্যান্ডকাফ আনো।’

তিনি বলেন, ‘নিচ থেকে আরেকজন এসে আমার এবং আশিক ভাইয়ের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগায়। এরপর আমার ওয়াইফ কান্নাকাটি করার পর হ্যান্ডকাফ খুলে দেয়। পরে আমার মোবাইল চেক করছে। কিছুক্ষণ চেক করার পর আমার মোবাইল ফেরত দিয়ে দেয়। এরপর আশিক ভাইয়েরটা চেক করছে। সেখানেও তারা কিছু পায়নি।’

মহসিন বলেন, ‘আমি জিজ্ঞেস করি, মোবাইল কেন চেক করেছেন? তাদের একজন বলে পাশের বাসায় কী একটা ঝামেলা হয়েছে। আশিক ভাইকে তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিবে। জিজ্ঞেস করি, কোথায় নিয়ে যাবেন? তাদের একজন বলেন, মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তারা সাড়ে ১২টার দিকে ভাইকে নিয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘ওই চারজনের সঙ্গে পুলিশ এবং আনসারের কিছু সদস্যও ছিল। ঘটনার পর ভাইয়ের বিভাগ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক রাতেই ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে বলা হয়েছে, এই নামে কাউকে আনা হয়নি। এখন পর্যন্ত আমরা ভাই সম্পর্কে কোনো আপডেট পাইনি।’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা গতকাল রাতে সেখানে গিয়েছি। তারা বলেছে, এ রকম নামে কাউকে আনা হয়নি। আর তারা যদি ধরেই থাকে তাহলে সেটি তারা চেয়ারম্যানকে জানাবেন।’

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মোরশেদ বলেন, ‘বিষয়টা আপনাদের কাছ থেকেই আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’

কোনো খোঁজ নিচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখি, আমরা চেষ্টা করছি।’

অভিযোগের বিষয়ে ডিবির রমনা জোনের ডিসি আজিমুল হক বলেন, ‘আমাদের টিমে এ রকম কাউকে আনা হয়নি।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh