শ্রীলঙ্কায় চালের কেজি ১১০৬, এক কাপ চা ৩৮০ রুপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৮:০১ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২২, ০৮:৩৯ পিএম

জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘ লাইন। ছবি: সংগৃহীত

জ্বালানি তেলের জন্য দীর্ঘ লাইন। ছবি: সংগৃহীত

দেশ স্বাধীনের পর সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা মানুষ। কাগজের সংকটে বন্ধ হচ্ছে সংবাদপত্রের প্রকাশনা, বাতিল হয়েছে স্কুলের পরীক্ষা। ভয়াবহ মন্দায় প্রাণ বাঁচাতে সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতের তালিমনাড়ুতে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে।

ব্রিটেনের কাছ থেকে ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এত বড় অর্থনৈতিক সংকট দেখেনি শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে পৌঁছানোয় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার।

শ্রীলঙ্কাজুড়ে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যন্ত জনজীবন। জ্বালানির তীব্র সংকট আরও খারাপ করেছে পরিস্থিতি।

এক কেজি চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ১১০৬ শ্রীলঙ্কান রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৩০ টাকা। চিনির কেজির দামও একই। ৪০০ গ্রামের এক প্যাকেট গুঁড়া দুধের দাম ৩ হাজার শ্রীলঙ্কান রুপি বা প্রায় ৯০০ টাকা।

দুধ ও চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় এক কাপ চা ৩৮০ রুপি বা প্রায় ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে রেস্তোরাঁয়।

ছাপা কাগজের সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কার স্কুলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন স্কুলে ২১ মার্চ টার্ম পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এর দুদিন আগে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায়।

শ্রীলঙ্কায় কাগজ মূলত আমদানি করা হয়। আমদানি করা হয় কালিও। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, পরীক্ষা নিতে কাগজের জোগান দেয়ার মতো ক্ষমতা নেই শ্রীলঙ্কার শিক্ষা দপ্তরের। এমনকি কাগজের আমদানি করতেও পারছে না তারা।

অন্যদিকে নিউজপ্রিন্ট সংকটের প্রভাব পড়েছে শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমে। দেশটির প্রধান ইংরেজি দৈনিক দ্য আইল্যান্ড এবং এর সিংহলি সংস্করণ দিভায়না শনিবার তাদের ছাপা সংস্করণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh