বুড়িমারী-ভারত রেলপথ চালুর দাবি!

এস কে শাহেদ, লালমনিরহাট

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২২, ০৩:৩৫ পিএম

বুড়িমারী স্থলবন্দর

বুড়িমারী স্থলবন্দর

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে ভারতের কোচবিহার রাজ্যের মেখলিগঞ্জ চ্যাংড়াবান্ধা রেলস্টেশনের সঙ্গে মাত্র ৭৫০ মিটার রেলপথ পুনঃসংযোগের দাবি জানিয়েছেন বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। এ রেলপথটি চালু হলে বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত হবে বলে অভিমত বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের। 

জানা গেছে, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় জোন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম-বুড়িমারী থেকে ভারতের মেখলিগঞ্জ-চ্যাংড়াবান্ধা রেলপথটি ব্রিটিশ আমল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। এখনো দুই দিকের স্থাপিত রেলওয়ে স্থাপনাসমূহ কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে রেলপথ বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে এ রেলপথটি। উভয় দেশের সরকার আলোচনা করে মধ্যবর্তী স্থানে তথা বুড়িমারী রেলস্টেশন-স্থলবন্দর হতে শূন্য রেখা হয়ে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা শুল্ক স্টেশনের মধ্যবর্তী ৭৫০ মিটার রেল লাইন বর্তমান সময়ে পুনঃস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। 

ব্যবসায়ীদের মতে, এ রেলপথটি চালু হলে ভারত, ভুটান, নেপালের সঙ্গে পরিবহন পথ কমে যাবে। ব্যাপক হারে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। সরকারের রাজস্ব আয় কয়েকগুণ বাড়বে। 

রেলওয়ে বিভাগ জানায়, সময়ের প্রয়োজনে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম-বুড়িমারী থেকে ভারতের মেখলিগঞ্জ-চ্যাংড়াবান্ধা রেলপথটি অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ভারত, ভুটান ও নেপালের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও পর্যটক বা যাত্রী পরিবহন করা হলে দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখা সম্ভব হবে। 

বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সওদাগর ট্রেডের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির সওদাগর বলেন, সবার উপকার হবে। ট্রাকে পণ্য পরিবহনে তিন ভাগের দুই ভাগ ব্যয় কমবে রেলের ওয়াগনে পণ্য পরিবহন করা হলে। মিটার গেজ উঠিয়ে রেলপথ ব্রডগেজ করে পণ্য পরিবহন করা হলে, ক্রেতা-বিক্রেতা, আমদানি-রফতানিকারক সবাই লাভবান হবেন। রাস্তাঘাট ভালো থাকবে। দুর্ঘটনা কমে যাবে। সহজে পণ্য পরিবহন করা যাবে। সারা ভারতে রেলপথে ওয়াগনে পণ্য পরিবহন হয়। আমাদের দেশে হয় না। পণ্য পরিবহনে হাজার হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। এটা সাধারণ মানুষ ও ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়ছে। 

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ সুফীনুর মোহাম্মদ বলেন, এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৪৫ কিলোমিটার রেলপথ ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা থেকে হাতীবান্ধা উপজেলা পর্যন্ত ডুয়েল গেজ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে ধাপে ধাপে করার পরিকল্পনা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে রেলপথ সম্প্রসারণ করা হবে। রেলে পণ্য পরিবহন করা হলে, নিঃসন্দেহে ভাড়া কমে যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh