প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২২, ০৯:২৪ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৫ পিএম
অভিযুক্ত আসিফ ইকবাল
রাজশাহীতে যৌতুকের অর্থ না পেয়ে স্ত্রীর ভ্রূণ হত্যাসহ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসিফ ইকবাল (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
আজ সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় নগরীর এক রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসিফ ইকবাল বলছেন, ওই নারীর সঙ্গে তার বিয়েই হয় নি। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
অভিযুক্ত আসিফ পাবনার সাথিয়া উপজেলার চককোনাবাড়িয়া এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। আর ভুক্তভোগী নারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ সান্ধ্যকালীন কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী নারীর দাবি, আসিফ ইকবালের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২ মার্চ আসিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রিসোর্টে তারা শারীরিক সম্পর্কেও মিলিত হয়েছেন। বিয়ের পর কয়েক দফায় আসিফ ৮ লাখ টাকা যৌতুক নেয়। আবারও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শুরু হয় নির্যাতন। কাবিন ভুয়া ভুয়া দাবি করে বিয়েও অস্বীকার করছে। এক সময় ওই নারী গর্ভবতী হলে যৌতুকের জন্য আসিফ কয়েক দফায় শারীরিক নির্যাতন করে। মাদকাসক্ত অবস্থায় পিটিয়ে তার ভ্রূণও নষ্ট করে ফেলে। সে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। সেখানেও অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত। অবৈধ উপার্জন করতে নিষেধ করায় আবারও নির্যাতন করা হয়। বিষয়টি তার অফিসের কর্মকর্তারা জানার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
তিনি আরও জানান, আসিফের বিরুদ্ধে তিনি নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে সে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। এরপর তাদের শারীরিক সম্পর্কের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় পাবনার সাথিয়া ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)’র বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয় নি।
আসিফকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসিফ ইকবাল বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তার সঙ্গে ওই নারীর বিয়েই হয়নি। সে ব্ল্যাকমেইল করছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।