ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:২৪ এএম | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১২:০২ পিএম
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে
শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। গতকাল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জারি করা এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ ঘোষণা দিয়ে তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন।
গভীর রাতে জারি করা বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি জরুরি অবস্থার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে গণঅসন্তোষে দেখা দেওয়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার পর প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া ১ এপ্রিল দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।
গত দেড় সপ্তাহ ধরে ভয়ানক অর্থনৈতিক সংকটের মুখে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানির হাহাকার, পরিবহণ প্রায় বন্ধ, খরচ বাঁচাতে ১০-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিংও করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কলম্বোর জনতা। এর পরেই শ্রীলঙ্কা জুড়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। তবে জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও রাজপক্ষের পরিবারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন।
জরুরি আইন জারির ফলে শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যেকোনো ধরনের অস্থিরতা দমনে ব্যাপক ক্ষমতা পেয়েছিল। কিন্তু জরুরি অবস্থা ও কারফিউ সত্ত্বেও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান দাবি করতে থাকে।
আর্থিক বিপর্যয়ের আবহে শ্রীলঙ্কায় দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক সঙ্কটও। শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন নতুন অর্থমন্ত্রী। এছাড়াও গতকাল শ্রীলঙ্কায় ৪১ জন সদস্য সমর্থন প্রত্যাহার করায় পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ রাজাপাকসের সরকার।
এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার কাছে বিরোধীদের একাংশ দাবি জানিয়েছে, অবিলম্বে পার্লামেন্টের অধিবেশনে সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। পাশাপাশি গোতাবায়ার ইস্তফা ও আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলায় ‘জাতীয় সরকার’ গড়ার দাবিও উঠছে। -ডয়চে ভেলে ও রয়টার্স