‘প্রধানমন্ত্রী অবাধ সাংবাদিকতা উপভোগ করেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:৫৪ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ সাংবাদিকতা উপভোগ করেন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনলাইন পোর্টাল জুমবাংলার যুগপূর্তি উপলক্ষে এক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যেই বলেন- আমার সমালোচনা আমি ভালভাবে নেই। এতে আমি আরো কাজ করার উৎসাহ পাই।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, সরকারের সবকিছুতে দায় আছে। আপনারা যারা সাংবাদিকতা পেশায় আছেন, তারা আমার থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বেশি চেনেন। যারা সাংবাদিকতায় কাজ করছেন তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যার ফলে এই সেক্টরটা অনেক বড় হয়েছে। আমরা যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বসে কথা বলছি এটার জন্য তিনি অনেক বড় পরিসরে পরিকল্পনা নিয়েছেন। আর সাংবাদিকতায় অবাধ স্বাধীনতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৬ জন ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘জুমবাংলা যুগপূর্তি সম্মাননা-২০২২’ দেয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।

সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, শিক্ষায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, কথাসাহিত্যে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, চিত্রশিল্পে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম টাকা ও কয়েনের নকশাকার কে. জি মুসতফা, চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সমাজসেবায় খুলনা অঞ্চলে সমাজসেবায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান অনির্বাণ লাইব্রেরি, সাংবাদিকতায় যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মহসীনুল হাকিম, ফটোগ্রাফিতে পাভেল রহমান, আবৃত্তিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আশরাফুল আলম, কবিতায় কবি ও সাংবাদিক খান মুহাম্মদ রুমেল, ছড়াতে ছড়াকার ও শিশুসাহিত্যিক পাশা মোস্তফা কামাল, গীতিকারে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মঞ্জুর উল আলম চৌধুরী, সঙ্গীতে গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত গবেষক সাজেদ ফাতেমী, কৃষিতে বরেন্দ্র ও রূপগ্রাম কৃষি খামারের উদ্যোক্তা সোহেল রানা, জনসচেতনায় বস্ত্র প্রকৌশলী সাঈদ রিমন, নারী উদ্যোক্তায় উই-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং আইটিতে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মো. মনির হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুমবাংলার সম্পাদক হাসান মেজর। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh