সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০৭:১৭ পিএম | আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০৭:১৮ পিএম
এরালিয়াকোনা হাওরের বাঁধ ভেঙে গেছে
পাহাড়ি ঢালের পানির চাপে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর সংলগ্ন এরালিয়াকোনা হাওরের বাঁধ ভেঙে পানি তলিয়ে গেছে। এতে করে এই হাওরে প্রায় দেড় শতাধিক একরের (এক একর ৯০ শতাংশ) বেশি বোরো জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা। এ হাওরটি তলিয়ে যাওয়ায় শতাধিক কৃষক সারা বছরের জীবন জীবিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
আজ শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে এরালিয়াকোনা হাওরে পানি প্রবেশ করে। এতে করে দুপুর ১টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়। এছাড়াও পানি বাড়ার কারণে এই হাওরের বাঁধের কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি উপচে প্রবেশ করছে।
বাঁধটি তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মন্দিয়াতা গ্রামের পাশে অবস্থান।
মন্দিয়াতা গ্রামের কৃষক ও ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়া বলেন, টাঙ্গুয়া হাওর সংলগ্ন গনিয়াকুড়ি, এরালিয়াকোনা, নান্দিয়া, লামারগুল, টানেরগুল, রাঙ্গামাটিয়া, ফলিয়ার বিল, সন্যাসিসহ ছোট ছোট ৮টি হাওর রয়েছে। কিন্তু এসব হাওরের ফসল রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো প্রকল্প নেই। এ হাওরগুলো রক্ষায় স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগেই বাঁধ নির্মাণ কাজ করা হয় ।
এরালিয়া কোনা হাওরের কৃষক শফিক মিয়া বলেন, আমার সারা বছর চলার একমাত্র মাধ্যম এই হাওরের বোরোধান। শুক্রবার সকালে নিমিষেই আমার জমির ধান পানিতে তলিয়ে যায়। আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাসান-উদ-দোলা জানান, বাঁধ ভাঙার খরব পেয়েই আমার লোকজন ঘটনাস্থলে যাই। এখন সেখানে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই হাওরে বোরো জমি চাষের পরিমাণ ৪ থেকে সাড়ে ৪শত বিঘা হবে (এক বিঘা ৩০ শতাংশ)।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির জানান, এরালিয়াকোনা হাওরটি ছোট হাওর, প্রতি বছর কৃষকরা নিজেরাই বাঁধ নির্মাণ করে। আজ শুক্রবার দুপুরে বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। তবে এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অংশ না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বাঁধগুলো কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে। এরালিয়াকোনা হাওরে পানি প্রবেশ করছে এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বাঁশ ও বস্তা নিয়ে হাজির হলেও অতিরিক্ত পানির চাপ থাকায় বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।