কুবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৪৪ পিএম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বর্ধিত ভর্তি কার্যক্রমে কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মেধাতালিকায় পেছনে থাকা শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী বিষয় পেলেও সামনে থাকা অনেকেই পছন্দের বিষয়ে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এমনিতেই প্রিভিলেজপ্রাপ্ত এবং ৩০ মার্চ পর্যন্ত মাইগ্রেশনের সুযোগও পেয়েছেন। তাই ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত সময়ে আর মাইগ্রেশনের সুযোগ না রেখে শূন্য আসনে নতুন ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে মনে করছেন মাইগ্রেশানে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার পর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মোট আসনের প্রায় নয় শতাংশ খালি রেখেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সেসময় ৩০ মার্চ পর্যন্ত শূন্য আসনে ভর্তি কার্যক্রম চলমান রেখে এরপর আসন ফাঁকা থাকলেও ভর্তির সময়সীমা আর বাড়াবে না বলে ঘোষণা দেয় প্রশাসন। তবে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করায় একমাস পর ফাঁকা আসনের সংখ্যা ১০ শতাংশে উন্নীত হয়। ফলে ফের ভর্তির সময়সীমা বাড়ায় কর্তৃপক্ষ।
গত ৩০ মার্চ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। একই সভায় কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুষদের ওপর ছেড়ে দেয় কমিটি। সভার এ পরামর্শ অনুযায়ী কোটায় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় বি ইউনিট।
এ বিষয়ে বি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করীম জানান, আমরা ৩০ তারিখ পর্যন্ত অনেকবার মাইগ্রেশনের সুযোগ দিয়েছি। এরপর আর ভর্তি কার্যক্রম চলার কথা ছিলো না। তারপরও যখন ১১ তারিখ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হলো, তখন আমরা মাইগ্রেশন বন্ধ করে কোটায় শূন্য আসনে নতুন ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ কোটা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এমনিতেই প্রিভিলেজ পাচ্ছে এবং ৩০ তারিখের আগে মাইগ্রেশনের সুযোগও পেয়েছে। কোটায় ভ্যারিয়েশন অনেক বেশি, এভাবে আমরা ভর্তিটা ক্লোজ করতে পারছি না। কিন্তু কোনো একটা জায়গায় এসে আমাদের ক্লোজ করতে হবে৷ তাছাড়া অন্য ইউনিটের তুলনায় বি ইউনিটে কোটায় ভর্তি শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশান কার্যক্রম খুবই ঝামেলাপূর্ণ। এখানে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, মানবিক সব বিভাগ থেকে আসে।
তিনি আরো বলেন, একটা ছেলে আবেদন করেছিলো। যে ছেলেটা আবেদনটা করেছিলো সে একবার কোটায় ভর্তি হয়েছে এবং একবার মাইগ্রেশনও করেছে। কিন্তু সে আবারো সেকেন্ড টাইম মাইগ্রেশন চাচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমরা কনসিডার করিনি।
এদিকে এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন খোঁজ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।