ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ১২:১৩ এএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০২:২৮ এএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি- রয়টার্স
সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়া ভ্লাদিমির পুতিনকে নানা সময় নানা চ্যালেঞ্জপূর্ণ কাজে অংশ নিতে দেখা গেছে। কখনো গায়ে বরফ ঢেলে গোসল, কখনো পানিতে সাঁতার আবার কখনো ঘোড়া দৌড় করানোর দৃশ্য মানুষের নজর কেড়েছে। নিজের দৃঢ়তা থেকেই তিনি বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। যার সর্বশেষ সংযোজন ইউক্রেনে অভিযান।
যদিও অনেকের ধারণা খুব তাড়াহুড়া করেই হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এবার সেই তাড়াহুড়ারও কারণ জানালো ব্রিটিশ কিছু গণমাধ্যম। যদিও ক্রেমলিন এসব বিষয়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই অভিহিত করেছে।
আজ রবিবার (১৩ মার্চ) ডেইলি মেইলসহ যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, 'গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন পুতিন। তাই তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্ত।'
প্রতিবেদনে বলা হয়, থাইরয়েড ক্যানসার অথবা পারকিনসন্স রোগে ভুগছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বিবর্ণ চেহারা এবং দৃশ্যত শারীরিক ভাবে দুর্বল অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এমনকি তিনি সবসময় একজন থাইরয়েড ক্যানসার বিশেষজ্ঞকে সঙ্গে রাখছেন বলেও দাবি করা হয়।
সম্প্রতি রাশিয়ার বন্ধ করে দেয়া একটি গণমাধ্যমের বরাতে এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে রুশ প্রেসিডেন্টের বর্তমান আবাসস্থল কৃষ্ণসাগরের তীরে সোচি শহরে অন্তত ৩৫ বার গেছেন মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিক্যাল হাসপাতালের থাইরয়েড ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ইয়েভজেনি সেলিভানোভ।
যদিও রুশ প্রেসিডেন্টের অসুস্থতার জল্পনা এই প্রথম নয়। ২০২০-র নভেম্বরেও একবার পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ভ্যালেরি সোলোভেই সেই সময়ে দাবি করেছিলেন, পুতিন সম্ভবত ক্যানসার বা পারকিনসন্সে ভুগছেন। তাঁর একটি জরুরি অস্ত্রোপচারেরও কথা চলছে। তবে পরে সেই দাবি মিথ্যা বলেই প্রমাণিত হয় ক্রেমলিনের দেয়া প্রমাণে।
এবার যুদ্ধ আবহের মধ্যেও পুতিনের দুর্বল স্বাস্থ্য ও অসুস্থতা নিয়ে জল্পনা ছড়ালো।
যুক্তরাজ্যের অনেক গণমাধ্যমের দাবি, পুতিন এতদিন দায়িত্ব পালনের পরে ইউক্রেনে অভিযানের মতো সিদ্ধান্ত নেয়ার মূল কারণ তার অসুস্থতা। এমনকি শরীরের পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যও হারিয়েছেন বলেই ইউক্রেনে তড়িঘড়ি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
এদিকে ভ্লাদিমির পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছে তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। অনেকে বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে গুজব রটাতে এ ধরনের খবর প্রকাশ করা হতে পারে। অর্থাৎ ব্রিটিশ গণমাধ্যমের এসব প্রতিবেদন হতে পারে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত!গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর কথা ঘোষণা করেন পুতিন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমে খবর ছড়ায়, 'গৃহবন্দী অথবা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন কিম।' এমন খবরে হইচই পরে যায় বিশ্বজুড়ে। তবে কিছুদিন পরেই সবাইকে চমকে দিয়ে ফিরে আসেন তিনি। মিথ্যা প্রমাণ হয় তাকে নিয়ে ছড়ানো রসালো সব প্রতিবেদন। ফিরে আসার পর নতুন করে উন্নত প্রযুক্তির বোমা বানিয়ে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন এই নেতা।