দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প কসবায়, হস্তান্তর মে মাসে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ১২:০৫ পিএম

দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ চলছে। ছবি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ চলছে। ছবি : ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

একসাথে চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের মহাযজ্ঞ চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের মনকশাইর এলাকায়। কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক লাগোয়া দেশের সবচেয়ে বড় এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে পাকা ঘরের পাশাপাশি উপকারভোগীদের জন্য থাকছে ধর্মীয় উপাসনালয়, হাট-বাজার, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবরস্থান। 

নির্মাণযজ্ঞ শেষে আগামী মে মাসেই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে উপকারভোগীদের কাছে। 

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কসবা উপজেলার গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য দেশের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেয় উপজেলা প্রশাসন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রচেষ্টায় মনকশাইর এলাকায় ১২.৩৫ একর খাস জায়গায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ হচ্ছে। মাটি ভরাট শেষে গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে শুরু হয় ঘর নির্মাণের কাজ। ঘরের চালাগুলো জাতীয় পতাকার আদলে সবুজ ও লাল রঙে করা হচ্ছে।  


সরেজমিন আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চার শতাধিক গৃহহীন পরিবারের জন্য সারি সারি ভাবে তৈরি হচ্ছে ঘর। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাঝখানের ঘরের চালাগুলো লাল রঙ ও বাকিগুলোতে সবুজ রঙের ঢেউটিন দেওয়া হচ্ছে। মূলত জাতীয় পতাকার আদলেই এমনটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, দুই শতাংশ করে জমির ওপর নির্মিত প্রতিটি ঘরে দুইটি করে কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট থাকবে। এছাড়া এ প্রকল্প এলাকায় উপকারভোগীরা পাচ্ছেন আলাদা মসজিদ-মন্দির, হাট-বাজার, বিদ্যালয়, কবরস্থান ও পুকুরসহ নাগরিক সব সুযোগ-সুবিধা।

একেকটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া আরো অতিরিক্ত চার হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মালামাল পরিবহনের খরচ হিসেবে।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সাড়ে তিন শতাধিক শ্রমিক রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করছি আগামী মে মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষে ঘরগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা যাবে। এ প্রকল্পে উপকারভোগীদের জন্য সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আইনমন্ত্রী প্রকল্প কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ রাখছেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সার্বক্ষণিক কাজের তদারকি করছি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh