এসএম শরিফ
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০১:১৪ পিএম
বন্যা, খরার কারণে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত
কিছু মানুষের বেহিসাবি কর্মকাণ্ডের ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে সমগ্র বিশ্ববাসীকে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নামে শিল্পোন্নত দেশগুলো বিশ্বের পরিবেশকে দূষিত করেছে। তাদের কর্মকাণ্ডের ফল এখন দরিদ্র দেশের মানুষকেও ভোগ করতে হচ্ছে।
অনেকে বলার চেষ্টা করে, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সংকটে শিল্পোন্নত দেশের মানুষের ভোগান্তিও বেড়েছে। যারা এমন বলেন, তাদের মনে রাখা উচিত, টেকসই অবকাঠামোর অভাবে দরিদ্র দেশের মানুষ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে উন্নত দেশের মানুষ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন হলো, শিল্পোন্নত দেশগুলোর বেহিসাবি কর্মকাণ্ডের ফল দরিদ্র দেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে কেন? আমরা লক্ষ করেছি, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকাতে নানা রকম আলোচনা করা হয়। সেসব আলোচনা শুনে বিশ্ববাসী আশাবাদী হলেও তাদের সেই আশা পূরণ হচ্ছে না। লক্ষ করার বিষয় হলো, কেবল শিল্প-কারখানার বর্জ্যরে দূষণই নয়, আরো বহু কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রকৃতির প্রতি অবিচার, বন উজাড়, কালো ধোঁয়া, যানবাহনের কারণে পরিবেশদূষণও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া কার্বন নিঃসরণের অন্যতম কারণ হলো বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার।
আগামী কয়েক দশকের মধ্যে শিল্পকারখানা থেকে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনার নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও দূষণ বন্ধে এবং কয়লার ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে বিশ্ববাসী এখনো একমত হতে পারেনি। বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা বাড়ছে। এ উদ্বাস্তুদের নানা রকম সমস্যার সমাধানে শিল্পোন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এসএম শরিফ
মিরপুর, ঢাকা