বছরে ২৫ কোটি টাকার কলা উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুরে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০১:৪৩ পিএম

কলা বাগান। ছবি: লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

কলা বাগান। ছবি: লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে কলা চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। এতে করে এ অঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলার আবাদ। বাড়ির পাশে পতিত জমিতে কলার আবাদ করে বাড়তি আয়ের পথ সুগম হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই।

স্বল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন কলা চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। এখানকার উৎপাদিত কলার গুণগতমান ভালো থাকায় এর চাহিদাও রয়েছে বেশ ভালো। এবার উৎপাদিত কলা থেকে ২৫ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নেয়া তথ্য মতে, লক্ষ্মীপুর মাটি কলা আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। এ অঞ্চলে ৪০০ হেক্টর জমিতে কলা বাগান রয়েছে। 

গ্রীষ্ম-বর্ষা সব মৌসুমেই কলা আবাদ হয়ে থাকে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর, দত্তপাড়া, চররমনী মোহন, টুমচর, ভবানীগঞ্জ, কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চরলরেঞ্চ, চর কালকিনি, রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া ও রামগতি উপজেলার চরগজারিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা, চাঁপা, আনাজ ও সরবীসহ বিভিন্ন জাতের কলার আবাদ হয়ে থাকে। 

সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের কলা চাষি নুর আলম। তিনি জানান, তিনি গেলো বছর রাস্তার পাশে ও পতিত জমিতে কলা চাষ করেছেন। এতে লাভও হয়েছে বেশ। এবছর রমজান মাসের শুরুতেই তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেছেন। এখনো তার জমিতে প্রায় ১০০টি গাছে বিক্রয় উপযোগী কলা রয়েছে।

শুধু নুর আলমই নন, কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট এলাকার সোলেয়মান, কামাল, সাবুসহ কয়েকজন কলা চাষি জানালেন, কলা চাষে তাদের খুব বেশি খরচ হয় না। কলা আবাদে সার ও কীটনাশক ওষুধও তেমন ব্যবহার করতে হয় না। এতে উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের। 

চাষিরা জানান, স্বল্প খরচে কলার আবাদ করে ভালো আয় করা যায়। তাছাড়া এ অঞ্চলের কলার গুণগতমান ভালো থাকায় এর বেশ চাহিদাও রয়েছে। এতে বাজার দর ভালো পেয়ে খুশি তারা। তবে কৃষি অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেলে কলা চাষে আরো বেশি ভাল করতে পারতেন বলে জানালেন কয়েকজন কৃষক। 

এদিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, বাজারে দেশীয় জাতের বাংলা কলার বেশ চাহিদা রয়েছে। দামও রয়েছে ভালো। এতে করে কলা চাষিদের পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন তারাও। 

কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তর লক্ষ্মীপুরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। কলা চাষে তেমন জমিরও প্রয়োজন হয় না। রাস্তার পাশে পতিত জমিতে কলা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের কলা গাছের চারা সরবরাহ করা গেলে কলা চাষে আরো বেশি লাভবান হবেন কৃষক।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh