লঞ্চের টিকিট কিনতে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০৩:২৩ পিএম

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ছাড়া ঈদযাত্রায় লঞ্চের টিকিট বিক্রি করা হবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, লঞ্চের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) কপি দিতে হবে টিকিট সংগ্রহ করার আগে। কেবিনে হোক বা ডেকেই হোক লঞ্চে উঠতে গেলে পরিচয়পত্রে কপি সরবরাহ করতে হবে। তাছাড়া টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না। 

আজ রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে ‘পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ঈদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ভাড়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্ধারিত যে ভাড়া সেটাই নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত লঞ্চে তুলে ফেলে, তাতে লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, আমরা সবাই সমন্বয় করে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা শতভাগ চেষ্টা করবো। আমরা যেমন যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তেমন যাত্রীদের কাছেও আমাদের আবেদন তারাও যেন নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করে। গণমাধ্যমে আমরা নির্দেশনাগুলো প্রচার করে। অপরিকল্পিতভাবে তারা যেন ঈদযাত্রা না করে সেটা আমাদের অনুরোধ থাকবে যাত্রীদের প্রতি।

তিনি আরো বলেন, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ থেকে জানানো হয়েছে- ২৭ তারিখ থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবে। যাতে রাস্তা ও নৌপথে অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয়।

 খালিদ মাহমুদ বলেন, লঞ্চ মালিকরা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। ত্রুটি-বিচ্যুতি সারিয়ে নিয়ে লঞ্চগুলো ঈদযাত্রায় যুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছেন। আমরা সবচেয়ে সংকটে পড়েছি আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু নিয়ে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে বিধি-নিষেধ আছে। সেই কারণে আমরা অনেক ফেরি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। 

তিনি বলেন, এখন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট রুটে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ছয়টি ফেরি সেখানে চলছে। পদ্মা বহুমুখী কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা চেষ্টা করবো এটা ২৪ ঘণ্টা চলাচল করতে পারে। মাঝিকান্দিতে একটি মাত্র ঘাট। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, আগামী চারদিনের মধ্যে সেখানে নতুন আরেকটি ঘাট তৈরি হবে। এই রুটে আমাদের ৮৩টি লঞ্চ আছে। সেগুলো যেন ধারাবাহিকভাবে ২৪ ঘণ্টা চলে আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। স্পিড বোট রাতে চলবে না। দিনে বালুবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। 

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে লঞ্চের কেবিনে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো তদন্ত করার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপদে পড়ে যায়। আমরা নিশ্চিত হতে চাই কোনো যাত্রী কোনো লঞ্চে পারাপার হচ্ছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh