পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে হাওরের বাঁধে ফাটল, শঙ্কিত কৃষক

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০৩:৫৬ পিএম

পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছবি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। ছবি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

বাঁধ নির্মাণ করা হলেও বাঁধ রক্ষায় বাঁশের ছাঁটাই, বস্তা ও বাশ দিয়ে বাঁধ ঠিকে থাকার জন্য মজবুত করা হয়নি। ফলে সামান্য পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও কিছু কিছু বাঁধ নিচু হওয়ায় পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানি উপচে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের গুরমার বর্ধিতাংশ হাওর উপ-প্রকল্পের ১৭ নং বাঁধটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। উত্তর বড় দল ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওরে নজরখালী, সমসার হাওরের বাঁধে ফাটল ও বাঁধ নিচু হওয়ায় পাহাড় থেকে নেমে আসা বৃষ্টি পানি উপচে পরায় নিজ উদ্যোগে মাটি ফেলে উঁচু করার কাজ করছেন এলাকাবাসী। 

হাওর পাড়ের কৃষক আলমগীর মিয়া ও আল আমিন বলেন, এখন বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে শুধুই সবুজের সমারোহ। ধানগাছ তার সবুজ রঙ বদল করে ধানে সোনালি রঙ ধারণ করেছে। অন্যদিকে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হওয়ার খবর শুনে কৃষকরা ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন। বাঁধ রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করবে।

বাঁধ নির্মাণ কাজ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ১৭নং পিআইসির সভাপতি শাহ আলী জানান, বাঁধ নির্মাণ হলেও বাঁধটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় বাঁশ, বস্তা ও বাঁশের চাঁটাই দেওয়ার জন্য বরাদ্দ না থাকায় আমরা কাজ করতে পারছি না। 

উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান সেলিম জানান, নজরখালী ও সমসার হাওরের বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের না। এরপরও আমরা নজরখালী বাঁধে কাজ করছি। আর ১৭ নং পিআইসি বাঁধটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তেমন কোন সমস্যা হবে না ফাটল অংশে। এরপরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ মনিটরিং কমিটির সভাপতি মো. রায়হান কবির বলেন, নির্ধারিত সময়ে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে আমি তদারকি করেছি। সব কাজ সন্তোষজনক হয়েছে। হাওরের কৃষকরা তাদের একমাত্র বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন। এ দিকে বাঁধে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর সরেজমিনে বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করেছি। সব গুলো বাঁধই ভাল আছে। আর যে বাঁধটি ফাটল দেখা দিয়েছে খুব শিগগির তা রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh