লক্ষ্মীপুরে নৌ-পুলিশের গুলিতে জেলে নিহত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২২, ০৪:০১ পিএম

আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে

আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে

লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশের সাথে জেলেদের সংঘর্ষে এক জেলে নিহত হয়েছেন। তার নাম আমির হোসেন (৩০)। তার বাড়ি ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামে। 

এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের পাঁচ সদস্য, একজন স্পিডবোট চালক ও ১০ জেলে আহত হয়েছেন। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

গতকাল শনিবার রাতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ সময়ে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের সময় জেলেদের সাথে নৌ-পুলিশের এ সংঘর্ষ হয়। আহত জেলেরা ভোলা জেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামের বাসিন্দা।  

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আনোয়া হোসেন জানান, আহত মোট ১৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, নৌ-পুলিশ মজুচৌধুরীর হাটের সদস্যরা শনিবার রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন বিরোধী অভিযানে যায়। এ সময় কমলনগরের মতিরহাটের অদূরে নদীতে জেলেরা মাছ শিকারে নিয়োজিত ছিলো। নৌ-পুলিশ সেখানে গেলে জেলেরা একত্রিত হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। জেলেরা  ৭টি নৌকায় ছিলো। জেলেরা পুলিশের উপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। জেলেদের প্রতিরোধ করতে পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে।

হামলায় পুলিশের স্পিডবোট চালক ও ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি নৌকায় থাকা ১১জন জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারা সকলে আহত ছিলো। এদের মধ্যে আমির হোসেন নামে একজনের অবস্থা গুরুতর ছিলো। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতকে রাতেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য পেরন করা হয়। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। 

আটক জেলেদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। নিহত জেলের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh