বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৪ শতাংশ : বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:২৯ পিএম | আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১১:৫১ পিএম

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯ শতাংশ হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মূলত আগামী অর্থবছরে স্থানীয় চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস স্প্রিং ২০২২’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে।  প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলন হয়।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের প্রবৃদ্ধি হতে পারে সবচেয়ে বেশি ৮ শতাংশ। এরপর মালদ্বীপের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, ভুটানের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, নেপালের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও পাকিস্তানের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আফগানিস্তানের জন্য এ বছর প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়নি বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক বলছে, কোভিডের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে তৈরি পোশাক রপ্তানির ধারা এখনও শক্তিশালী। ইউরোপসহ বিভিন্ন বাজারে যদি পোশাক রপ্তানির বাজারের অংশীদারিত্ব ধরে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যান্স টিমার বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছে। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ ভালো করেছে। চলতি অর্থবছরে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেশি হতে পারে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে। এছাড়া রপ্তানিও কমছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh