বিদেশে টিকা তৈরি শিখতে যাবেন ২০ বিশেষজ্ঞ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০৭:৩৫ পিএম

গোপালগঞ্জ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ছবি- সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। ছবি- সংগৃহীত

দেশে সরকারিভাবে করোনাসহ অন্যান্য রোগের টিকা উৎপাদনে বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দিতে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্যে ২০ জন মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, টেকনিশিয়ানকে নিয়োগ করা হয়েছে।

এই বিশেষজ্ঞদেরকে ১০ বছর গোপালগঞ্জে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ভ্যাকসিন প্লান্টে কাজ করার শর্ত দেয়া হয়েছে।

ইডিসিএল সূত্র জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে ২৩ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলবে। এজন্যে কর্মকর্তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলা ও বুঝতে পারার যোগ্যতা ও কারিগরি জ্ঞান থাকতে হবে। ফিরে আসার পর তাদেরকে গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্লান্টে নিয়োগ দেয়া হবে। সেখানেই ১০ বছর ওই বিশেষজ্ঞদেরকে কাজ করতে হবে।

যেসব রোগ প্রতিরোধী টিকা আবিষ্কার হয়েছে, সেসব টিকা দেশে উৎপাদন করা হবে মন্তব্য করে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, এ উদ্দেশ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে কিছু পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে তিন পর্যায়ে কাজ চলছে। প্রথমত, জমি অধিগ্রহণ : এই কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। দ্বিতীয়ত, টিকা উৎপাদনে অর্থায়নের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।

‘তৃতীয়ত, কিছু জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তারাই মূলত টিকা উৎপাদন করবেন। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এই প্রশিক্ষণে অর্থায়ন করবে। এসেনসিয়াল ড্রাগস টিকা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ২০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এদের মধ্যে মাইক্রোবায়োলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, টেকনিশিয়ান আছেন। এখন কতজন তারা নিয়ে যায়, এটা তাদের বিষয়। মূলত দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’

কত দিনের মধ্যে টিকা উৎপাদন সম্ভব– এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক এহসানুল কবির বলেন, ‘টিকা উৎপাদনে অনেক সময় প্রয়োজন। তবে আমরা তিন পদ্ধতিতে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। জমি অধিগ্রহণের পর ল্যাব নির্মাণ শেষ করে মেশিনারি বিদেশ থেকে আনতে হবে। তিনটি পর্যায়ে এই কাজ করতে হবে। প্রথমে বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে বোতলজাতকরণ করা হবে।

‘এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে হবে ফুল ম্যানুফেকচারিং। এরপর টিকা নিয়ে গবেষণা। প্রথম পর্যায়ে দুই বছর সময়, দ্বিতীয় পর্যায়ে এমন আরও দুই বছর সময় লাগবে। টিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠা গড়ে তুলতে আরও এক বছর সময় লেগে যাবে। সব মিলিয়ে ৫ বছর সময় লেগে যাবে।’

অধ্যাপক এহসানুল কবির আরো বলেন, ‘দেশে শুধু করোনা প্রতিরোধী টিকা তৈরি হবে তা নয়, সব রোগের টিকা তৈরির কাজ করা সম্ভব হবে।’

দেশে সব ধরনের টিকা উৎপাদন হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে দেশে টিকা উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে। শুধু করোনা টিকা নয়। দেশে সব রোগ প্রতিরোধে টিকা উৎপাদনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh