কৃষির বৈরী আবহাওয়া সফলভাবে মোকাবিলা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০৮:১১ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০৮:১২ পিএম

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সংলাপের কথা বলছেন কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সংলাপের কথা বলছেন কৃষিমন্ত্রী

কৃষিক্ষেত্রে বৈরী আবহাওয়া বিশ্বের জন্য চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ, এখানে চ্যালেঞ্জ আরো বেশি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক সফলভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। ভবিষ্যতে বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলার জন্যও গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দের পাশাপাশি কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণে কাজ করছে। ফলে বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা সম্ভব বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আজ রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষিপণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।

ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার দেওয়ায় হাওরে দ্রুত ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বৈরী পরিবেশ মোকাবিলায় ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। এ মুহূর্তে শুধু সুনামগঞ্জ জেলায় ৫৭৭টি কম্বাইন হারভেস্টার ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে। ফলে বৈরী পরিবেশের মধ্যেও সুনামগঞ্জে এখন পর্যন্ত ৭৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, নানান কর্মসূচি নেওয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকার মঙ্গাকে চিরতরে দূর করেছে। ১৪ বছরে মঙ্গাপীড়িত এলাকা, উপকূলীয় এলাকা ও চরাঞ্চলসহ দেশের কোথাও কোনো খাদ্য সংকট হয়নি, মঙ্গা হয়নি। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশের বৈরী আবহাওয়াকে নিয়তি বলেই ধরে নিয়েছিল। দেশে প্রতি বছর খাদ্য সংকট হবে, মঙ্গা হবে, দুর্ভিক্ষ হবে- এটি তারা মেনে নিয়েছিল। ২০০১-০৬ পর্যন্ত তাদের শাসনামলে প্রতি বছর দেশে মঙ্গা হয়েছে, মানুষ না খেয়ে থেকেছে ও মারা গেছে।

কৃষিক্ষেত্রে গবেষণার জন্য বর্তমান সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগে কৃষি গবেষণার জন্য আমরা বিদেশের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। বিদেশি বা আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার টাকা না পেলে গবেষণা করা যেতো না। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিখাতে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছেন। ফলে গবেষণার জন্য ফান্ডের কোনো কমতি নেই।

শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করে বাংলাদেশের অর্জনকে খাটো করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, একটি জাতি তার আত্মশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অহেতুক ও ভিত্তিহীনভাবে শ্রীলঙ্কার সাথে তুলনা করে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও অর্জনকে ছোট করা হচ্ছে। এটি মোটেই ঠিক হচ্ছে না। আমরা যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন এরকম ভিত্তিহীন তুলনায় আমাদের উদ্যোক্তারা হতাশ হয়ে পড়বে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বিএজেএফের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। এছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক) সৈয়দ মঈনউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh