আইনস্টাইনকে মনে রেখে

শহীদ ইকবাল

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০১:৩৯ পিএম

১৯৫৫-র এপ্রিলের ১৮ তারিখ আইনস্টাইনের (জ. ১৮৭৯) জীবনাবসান হয়, তার অন্তত চৌদ্দবছর আগে রবীন্দ্রনাথ চলে গেছেন। উপমহাদেশের মানুষ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ আমাদের গর্বের বস্তু। এর নানা কারণ আছে। কান টানলে মাথা আসার মতো রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শন নিয়ে ভাবলে দড়াম করে আইনস্টাইনের মতো বড় বিজ্ঞানীর কথাও চলে আসে।

উল্টোটাও যে ঘটে না তাইবা বলি কীভাবে! এখানে এই এপ্রিলে বিজ্ঞানী অ্যলবার্ট আইনস্টাইনের মৃত্যুদিবস ঘিরে ভাবতে গেলে নানা কথা মনে আসছে। বিজ্ঞান-দর্শন-সাহিত্য কী আলাদা কিছু? কেনই বা তা আলাদা হবে, সৃষ্টির কেন্দ্র যখন একটি বিন্দু- আর তা হলো ‘সত্য’। এবং তারও অধিক সত্য ‘মানুষ’। মহাবিশ্বের সত্যই যখন মানবসত্য তখন তো কিছুকেই আলাদা করা কঠিন। খুব সাদামাটা করে বলি, মানুষ ছাড়া মহাবিশ্বের কী দাম আছে? ভাবা যায় কী! মানুষের অসীম ব্যক্তিত্বই তো মহাবিশ্বকে উপলব্ধি করায়। আর এমন কিছু তো নেই যা মানুষের ব্যক্তিত্ব দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না। মহাবিশ্ব হোক আর বিশ্ব হোক মানুষই যদি না থাকে তবে কার কী দাম আছে?

তাই বিজ্ঞান তো দর্শনেরই প্রায়োগিক ফল। আবার দর্শন ও সাহিত্য তো আলাদা কিছু নয়, একেবারেই লেপ্টে থাকা জিনিস। সবই আসলে ‘ধারণা’। ধারণাকেই আমরা যুক্তি-তর্ক দিয়ে একটা পর্যায়ে উন্নীত করি। তার সাথে জুড়ে দেই অস্তিত্ব-সংকেত। চেতনা থেকেই সব উঠে আসে। আর তাতে করেই বাস্তবতার উপলব্ধি অভিজ্ঞতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। বিষয়গুলোর ভেতরে ঢুকলে তৈরি হয় নানা রঙ নানা বর্ণ। সবকিছু যেন সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠে। আমরা তখন নেচে উঠি সৃষ্টির আনন্দে। বস্তুতপক্ষে এই সৃষ্টির আনন্দ থেকেই আবার প্রশ্নের চর জেগে ওঠে। তবে সবকিছুর মূলে কল্পনাই বড় হয়ে ওঠে। কল্পনা করতে না পারলে আইনস্টাইন বিজ্ঞানী হন কী করে! কল্পনার চাষই তো জরুরি। 

আজকে আইনস্টাইন-উদ্যাপন আমাদের নিকট খুব জরুরি হয়ে উঠেছে। কেন? এর অনেক কারণ। কারণটায় পরে আসি। যেটি বলছিলাম- আইনস্টাইনের সংযুক্তিটা আমরা হয়তো রবীন্দ্রনাথ দিয়ে দাঁড় করাই। এটা ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা নেট দেখেও খুঁজে বের করতে পারি, উভয়ের দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছিল অন্তত ছয়বার। তাতে একালে হয়তো আমরা ব্রাণ্ডেড হই, শ্লাঘা বোধ করি; কিন্তু এসব তো তথ্য মাত্র। তথ্য তো তথ্যই। তথ্যের চেয়ে ধারণা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আইকনিক এই উভয়ের যে সাক্ষাৎ ও সংযোগ ঘটেছিল, সেটি কিন্তু ধারণাগত চিন্তার অভিন্নতা ও ঐক্যের কারণে। এটা তাঁরা নানা সময়ে বলেছেন। এই সত্যটি তারা উপলব্ধি করেছিলেন যে, ‘তার প্রকৃতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। তিনি তথ্য এবং ইতিহাসের তারিখগুলো মুখস্থ করা বেশ অপারগ- অর্থহীন বলে মনে করেছিলেন। ধারণাগুলো তাকে তথ্যের চেয়ে বেশি প্রলুব্ধ করেছিল যার কারণে তিনি তার ইতিহাসের শিক্ষকের সাথে শিক্ষার ওপর উত্তপ্ত তর্ক করেছিলেন। তিনি স্কুলে যাওয়ার গুরুত্বের প্রতি এতটাই অস্থির এবং উদাসীন ছিলেন যে তিনি এতে অংশ না নিতে কোনোও আপত্তি করেননি।’

এমন চিন্তার সঙ্গে উভয়েরই দ্বি-মত করার অবকাশ কোথায়। বিশেষ করে, রবীন্দ্রনাথের আমার ছেলেবেলা পড়লে তো বুঝতে অসুবিধে হয় না- তার প্রকৃতিগত ধারণা, সত্য ধারণা ও মহাজাগতিক বিশ্বের চিন্তনধারণা কীভাবে তার কল্পনার মধ্যে ছিন্ন ছিন্ন অবভাস রচনা করছে- একসময় যা বাস্তব রূপ নিয়েছে। জীবন ও মানুষের ভেতরে তার বিচিত্র প্রশ্নধারাকে যুক্ত করে দিয়েছে মাহাজাগতিক নক্ষত্রবিশ্বের আলোকময় বিভাব। আইনস্টাইনও তাই। এখন এসব কথা বলার এই মুহূর্তে কী প্রয়োজন? যে প্রশ্নটি আগেই উল্লেখ করেছি। এখানে শুধু কী আইনস্টাইনের তুখোড় সৃষ্টি ঊ=সপ২ ধরনের কিছু কাজের মুখোমুখি করে তত্ত্ব কপচানো, নাকি কিছু বৈজ্ঞানিক মানুষ ধারণা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। ‘পৃথিবী একটি মানব জগত- এর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিও বৈজ্ঞানিক মানুষের মতো। সুতরাং, আমরা ব্যতীত জগতের কোনো অস্তিত্ব নেই; এটি একটি আপেক্ষিক বিশ্ব, আমাদের চেতনার ওপর তার বাস্তবতার জন্য নির্ভর করে।’- এ   কথাটি তো বিশ্বাস করতে হবে! সেই বিশ্বাসটি যদি আমাদের বোধোদয়ে না আসে তবে আর এসব লিখে লাভ কী!

সাহিত্য-বিজ্ঞান-দর্শনের সম্পৃক্ততা বা সম্পর্কের প্রান্তগুলো কী? সবটুকুই ধারণা- যা আগেই বলেছি। তথ্য মুখস্থ করার তো কোনো প্রশ্নই আসে না সেখানে- তবে এই ধারণার জন্য যে কল্পনা- এবং কল্পনার ক্ষেত্র ও পরিবেশ- যা রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনকে মুখোমুখি করেছিল, বোঝাপড়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল- তাতে আমাদের এখনকার এই একুশ শতকের বিশ্বে কী করে সমাজে-রাষ্ট্রে তা বিম্বিত হতে পারে- এবং তার জন্য যে প্রতিটি স্তরে কাজ করা, পরিশীলন বাড়ানোর চেষ্টা করা সেটি কী আমরা করছি বা তা কি চলছে এখন? বিজ্ঞানের যে প্রসার এবং প্রযুক্তির যে প্রাত্যহিক ব্যবহার- আমাদের জীবনকে কী তা নিয়ন্ত্রণ করছে, সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করছে- যেখানে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি বৈজ্ঞানিক মানুষের মতো কাজ করে থাকে? এখন আইনস্টাইনকে সামনে রেখে এ প্রশ্নটি করা কী খুবই অযৌক্তিক?

আশ্চর্য হতেই হয়, আমরা যেন আরও পিছিয়ে পড়ছি। প্রতিনিয়তই পিছিয়ে পড়ছি। সমাজে বিজ্ঞানচর্চা নেই, বিজ্ঞানমনস্কতার তীব্র খরা চলছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কিন্তু বিজ্ঞানী বা বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের দেখা মিলছে না। যেটুকুও হচ্ছে সমাজে তারও বিন্দুমাত্র কোনো প্রবাহ আছে বলে মনে হয় না। অন্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডকতার বিস্তার কমছে না। প্রগতির নামে অ-প্রগতির প্রসার বাড়ছে। অবাধ প্রতিযোগিতার নামে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। বস্তুত, আইনস্টাইন যেটি বলেছেন, ধারণা- পর্যবেক্ষণ, তথ্য গণনার বদলে সেটি উল্টোরথে চলছে। তথ্য-গণনা ও মুখস্থ ইতিহাসে বিদ্যায়তনগুলো ছেয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে ভালো ফল আর প্রাপ্তির মোহ সমাজে তৈরি হয়েছে। পুরো সমাজ-কাঠামোই ভোগ আর মোহের বৃত্তে আটকে গেছে। ফলে মানবিকতা নেই। শোষণ, পীড়ন, ক্ষমতা, শক্তির দাপট বাড়ছে এবং চক্রবৃদ্ধি হারে তারই পৃষ্ঠপোষকতা চতুর্দিকে দানা বেঁধে উঠছে। বিজ্ঞানমনস্ক না হওয়ার ফল সমাজের অন্ধতা ও বিকৃতির প্রসার। তাতে বৈজ্ঞানিক উপাদানের অন্ধ ব্যবহার ও উপযোগের চর্চা চলছে; কিন্তু প্রায়োগিক জ্ঞান বৃদ্ধি না পেয়ে ওই নির্ধারিত বৃত্তেই তা আটকে থাকছে। সৃষ্টিশীলতা এমন এক জিনিস এর জন্য যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন- তা নয়, আইনস্টাইন গণিতে ভালো করেছিলেন কিন্তু অন্য অনেক বিষয়েই ফল পাননি কিন্তু আজকে তারই সৃষ্টিতে আমরা মুখরিত হচ্ছি। তারই সৃষ্টি গোটা পৃথিবী কাঁপাচ্ছে। তাই সৃষ্টির জন্য তো প্রচুর ভালো রেজাল্ট বা একাডেমিক শিক্ষার দরকার নেই, প্রকৃতির অভিজ্ঞতা কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের উস্কানিই যথেষ্ট- আমরা সেরকম শিক্ষার পৃষ্ঠপোষকতা কী দিচ্ছি? ফলে প্রচুর প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কিন্তু বৈজ্ঞানিক মনস্কতা তৈরি হচ্ছে না। বিজ্ঞান যেন নির্বাসনে যাচ্ছে।

আমরা বলছিলাম, আমাদের রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের সম্পর্কের কথা, তারা তো কল্পনা করেছেন- নিউটন কী করেছেন- কল্পনা-ধারণার বস্তুগত প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। কোনো এক মনীষী বলেছিলেন, শেক্সপীয়ার হওয়া কঠিন নিউটন হওয়ার চেয়ে। তো রবীন্দ্রনাথ প্রাচ্যের মানুষ হিসেবে বস্তুবিশ্বের জ্ঞানকে যেভাবে আয়ত্ব করেছেন, ভেবেছেন- চিন্তা করেছেন সেটি দার্শনিক প্রজ্ঞার ভেতর দিয়ে তো একটা পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান বিষয়ক বিশ্বপরিচয় গ্রন্থে মহাজাগতিক বিশ্বের যে পরিচয় তুলে ধরেছেন, তাতে আজকালকার প্রকৌশলী জ্ঞান যাদের আছে তারাও তা পড়ে দেখতে পারেন- কীভাবে তিনি বিশ্বকে দেখেছেন, ইলেকট্রন-প্রোটন-নিউট্রনের ধারণাগুলো বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফলে এমন মানুষের সাথেই তো আইনস্টাইনের পরিচয় ও সাক্ষাৎ হবে, এটাই স্বাভাবিক। সেটি তো শুধু দেখা হওয়া বা কোলাকুলি করার ব্যাপার নয়। এটি চিন্তন ও মননের ব্যাপার। আইনস্টাইনের জ্ঞান-ধারণা বা সত্য-ধারণার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন- বাস্তবে রবীন্দ্রনাথ কল্পনার অবভাসে নতুন দিকসূত্রে এগিয়ে নিয়েছেন। এই যে সম্পর্ক সেটি কী আজকাল আমাদের কারো উদাহরণ হতে পারে? বিষয়গুলো ভেবে দেখার যথেষ্ট অবকাশ আছে, অন্তত, এই সময়ে। এটুকু করতে পারলেই আইনস্টাইনের মৃত্যুদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। 

এর মধ্যে সমাজের পরিবর্তন ও আর্থনীতিক বিকাশের কথাটা বললে বুঝি অমূলক হবে না। আইনস্টাইনই হোক আর রবীন্দ্রনাথই হোক কেউ তো সমাজবিচ্যুত মানুষ নন। সমাজের ভেতর থেকেই তাদের ধারণা তৈরি হয়েছে। আবিষ্কারের মূলেও তো তাই। এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের একে অপরের জুটি বাঁধার কারণ যদিও আগেই বলেছি, তবুও রবীন্দ্রনাথের সার্বভৌম অভিধার কারণটি যেনো ভুলে না যাই। আইনস্টাইন তো পশ্চিমা, তাঁকে একপ্রকার এদেশীয় রসে হজম করার বাসনাও তো রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে ঘটলে ক্ষতি হয় না। এ তো আর ঘড়ায় তোলা জল নয়! যা হোক, পুঁজিবাদী ব্যবস্থারও এখন যে প্রতিক্রিয়াশীল পর্ব চলছে- সেখানে আমাদের হাতে ধরা দিয়েছে গ্লোবাল বিশ্ব (সে যে অর্থই করি), প্রযুক্তির সর্বরকম আত্মসাৎকারী উপকরণগুচ্ছ- যা আমাদের যাপিত জীবনের জন্য হয়ে উঠেছে নিরঙ্কুশ উপভোগ্য। এই উপভোগের সারবত্তাই বা কী? বিশেষ করে এই বাংলাদেশে আমরা কতোটা এই প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযুক্ত? যে শিক্ষিত জেনারেশন আমাদের সম্মুখে বেড়ে উঠছে- তারাইবা কতোটুকু এর উত্তাপ নিতে পারছে।

যে বাস্তব পরিস্থিতির ইঙ্গিতটা আমরা করেছি- এর পেছনে তো কর্পোরেট ব্যবস্থার প্রকোপ আছে, উৎপাদন সম্পর্ক ও ব্যক্তির বিনির্মাণের ব্যাপার রয়েছে, সমাজ-কাঠামো গড়নে এ বিষয়গুলো তো অবশ্যম্ভাবী। ব্যবসা-বাণিজ্য কোথায় নেই! যিনি শিক্ষক তিনিও শিক্ষাকে ব্যবসায় অঙ্গীভূত করে ফেলেছেন, যিনি ডাক্তার তিনিও। সেবা বা মানব সম্পদ তৈরির চেষ্টা তো কেউই করছেন না। ভোক্তারাও সেইটিকেই নির্বিবাদে গ্রহণ করছে। আর তা না করেও উপায় নেই। বিপরীতে রাষ্ট্রের ট্যাক্সের টাকায় অঢেল অর্থ ব্যয় করে মেধাবীদের আমরা ক্ষমতা আর ভোগবাদী জৌলুসের উপরিতলের তাৎক্ষণিক সুখ-সুবিধায়- লালসার দীক্ষা দিচ্ছি। বিজ্ঞান শিখে লাভ নেই তার চেয়ে মিলিটারি বা ব্যুরোক্র্যাট হওয়া ভালো। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ফরেন ক্যাডারে জয়েন করে সমাজের পুরো ব্যবস্থাটার গালে চপেটাঘাত করে নিজের আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলছে।

তবে একালে কে আইনস্টাইন হবে বা রবীন্দ্রনাথ হবে? সেসবের কী কোনো সামাজিক ভোক্তা আছে? যদি নাই থাকে তবে মানবসম্পদ তৈরি হবে কী করে, শাসক আর শাসিতের পৃথিবী তো টেনশন উৎপাদন করবেই, অন্ধকার আর কূপমণ্ডকতায় ভরে যাবে। ভীরু আর দাসত্বের অলংকার ঘাড়ে চেপে বসবে। মানুষে মানুষে দূরত্ব আর নির্বাসনের সংস্কৃতি গড়ে উঠবে। সামগ্রিক সামাজিক অবকাঠামো কী তারই সংকেত দিচ্ছে না? আর শুধুই বংলাদেশ কেন, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা বা ইউরোপের খবরও কী তেমন সুখের কিছু? যদিও আমরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে সুখের চান্দ পাওয়ার জন্য এখন বেশ বিদেশমুখী হয়ে পড়ছি। কথাগুলো আইনস্টাইনকে সম্মুখে রেখেই মনে পড়ল।

তবে তিনি যে বলেছিলেন : মানব অস্তিত্বের কথা- It is indispensable for us-this reality which is independent of our existence and our experience and our mind. বিষয়টি কী তবে ভেবে দেখবার নয়, অন্তত যখন এই পরিস্থিতির মুখেও আমাদের আশা আর আশ্বাসটুকুর কথা কিয়ৎ পরিমাণ হলেও বলতে হয়! তবে তার নাগাল আমরা কতটা পাব। আদৌ কী পাব? 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh