দেশে রাতকানা রোগে আক্রান্তের হার ১ শতাংশ: বিএসএমএমইউ ভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:০১ পিএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০৫:০২ পিএম

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

দেশে রাতকানা রোগে আক্রান্তের হার ১ শতাংশে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, একসময় দেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে রাতকানা রোগ দেশ থেকে নির্মূল হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে ‘নিউট্রিশন : অপরচুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সেমিনার তিনি এসব তথ্য জানান। এ কর্মসূচির আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন।

উপাচার্য বলেন, রাতকানা রোগীর প্রায় ১ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি সম্ভব হয়েছে ইপিআই সেন্টারের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভ্যাকসিন হিরোতে ভূষিত করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের যত অর্জন ও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া তার সব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার হাতে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভিশনারি লিডার না হলে, ওই সময় ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের মতো স্বাস্থ্যসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো গঠন করা সম্ভব হতো না। সেই সময় বসে বঙ্গবন্ধু জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দানের নানান প্রতিষ্ঠান গড়ে দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, আমরা উত্তরবঙ্গের মঙ্গা দেখেছি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের ফলে উত্তরবঙ্গের মঙ্গাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

উপাচার্য আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। এখন আর গ্রামের মায়েরা টিনের কৌটার দুধ বাচ্চাদের খাওয়ান না। বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। যেসব ওয়ার্কিং মা আছেন, সেসব মারা যদি বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান তবে তারা সুস্থ থাকবে, বেশি কর্মক্ষম হয়ে হবেন।

অনুষ্ঠানে প্যানেল বক্তা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, দ্যা অবস্ট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও সেমিনারে স্পিকার হিসেবে নিউন্যাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার দে, ওজিএসবি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. গুলশানা আরা বক্তব্য রাখেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh