জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২২, ০৬:০৭ পিএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তীব্র মুদ্রাস্ফীতির কবলে পড়েছে জার্মানি। গত মার্চ মাসে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে সাত দশমিক তিন শতাংশে। ১৯৮১ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বহু গুণ বেড়ে যাওয়ার ফলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটেছিল পশ্চিম জার্মানিতে। এবার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ফের মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জার্মানির অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত মার্চ মাসে দেশের মুদ্রাস্ফীতি সাত দশমিক তিন শতাংশে পোঁছায়। চলতি এপ্রিল মাসে তা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিসাব বলছে, জিনিসপত্রের দাম গত মার্চ মাসের তুলনায় সাত দশমিক চার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল এবং গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেই এই হারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউরোপের আরো অনেক দেশের মতো জার্মানি তেল এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর প্রবলভাবে নির্ভরশীল। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই দেশের এনার্জি খাতে ব্যয় বাড়তে থাকে। তারই প্রতিফলন ঘটছে সার্বিক অর্থনীতিতে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস। 

তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। রাশিয়া যেভাবে পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে, এবার তা জার্মানিতেও করতে পারে। এজন্যে তৈরি থাকতে বলেছেন চ্যান্সেলর। 

একইসঙ্গে জানিয়েছেন, আগে থেকে আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই, পরিস্থিতি যেমন হবে, তার সঙ্গে লড়াই করতে হবে।

সমস্যা কেবল জার্মানির নয়। গোটা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। গত একমাস ধরে কার্যত ধুঁকছে শ্রীলঙ্কা। হাঙ্গেরি জ্বালানি এবং খাবারের দাম ফ্রিজ করে দিয়েছে। জাপানে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড জানিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আফ্রিকায় খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে, যা সামাজিক লড়াইয়ের চেহারা নিতে পারে। সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বজুড়েই এক অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ সেই অবস্থায় আরো ইন্ধন দিচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

সূত্র: ডয়চে ভেলে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh