আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৫৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৫৮ এএম
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: টুইটার
পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়ায় ইতোমধ্যে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। আর এতেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপে। ভ্লাদিমির পুতিনের শর্ত মেনেই জ্বালানি কেনার জন্য বেশ কিছু ইউরোপীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশের জ্বালানি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
এর আগে কয়েকদিন আগে রুশ জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থা গ্যাজপ্রোম জানিয়েছে, মস্কোর সহযোগী নয় এমন দেশগুলো তাদের কাছ থেকে ডলার বা ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করে তেল কিনতে পারবে না। তাদের কাছ থেকে তেল কিনতে হলে দাম মেটাতে হবে রুবেলে। এজন্য গ্যাজপ্রোমের ব্যাঙ্কে পৃথক অ্যাকাউন্টও খুলতে হবে।
জার্মান সংস্থা ইউনিপার জানিয়েছে, ইউরোপে একটি রুশ ব্যাঙ্কের শাখায় তারা ইতোমধ্যে অ্যাকাউন্ট খুলছে। তার মাধ্যমেই জ্বালানির দাম মেটানো হবে।
অস্ট্রিয়ার জ্বালানি সংস্থা ওএমভিজেএফ-এর তরফ থেকেও একই বার্তা এসেছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) গ্যাজপ্রোম জানিয়েছিল, পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জ্বালানির মূল্য রুবেলে দিতে পারেনি বলেই ওই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতালির একটি জ্বালানি সংস্থাও রুবেলে দাম মেটানোর জন্য রুশ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছে বলে ইউরোপের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) মস্কো জানিয়েছিল, জ্বালানির দাম মেটানোর জন্য ইউরোপের কমপক্ষে ১০টি কোম্পানি রুশ জ্বালানি সংস্থা গ্যাজপ্রোমের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলেছে।
ইউক্রেনের উপর হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো রাশিয়াকে বাণিজ্যিক ও সামাজিকভাবে বয়কট করার ডাক দিয়েছে। সেই দেশগুলো ইতোমধ্যে রাশিয়া থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে এবং রাশিয়ার উপর একের পর এক কড়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ইউরোপের একের পর এক দেশ পুতিনের শর্ত মেনে রাশিয়া থেকে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে শুরু করেছে। এতে করে ইউক্রেনে হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে তা দুর্বল হয়ে পড়বে।