নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৩৯ পিএম
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। ছবি: সংগৃহীত
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শেষ বিকেলে রাজধানীর সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। ফলে সময়ের সাথে সাথে যাত্রীর চাপ আরো বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন লঞ্চমালিকরা।
আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) সদরঘাটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ না থাকলেও শেষ বিকেলে ঘাটে ভিড় করছেন যাত্রীরা। সদরঘাটে পৌঁছাতে বিকেল থেকে যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
লঞ্চমালিকরা বলছেন, আজ গার্মেন্টসে ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সন্ধ্যায় ইফতারের পর চাপ আরো বাড়বে। সকাল থেকে বেশ হতাশ ছিলাম। কারণ অন্যান্য সময় সকাল থেকেই ভিড় বেশি থাকে। কিন্তু এবার সকালে তেমন ভিড় ছিল না। তবে বিকেলে ভিড় বাড়ায় কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত শাহিন আলম বলেন, আমগো আজকে ছুটি হইছে। সকালে তাড়াতাড়ি বাইর হইছি। সবাইরে নিয়া আইছি। লঞ্চে তো এহন অনেক ভিড়। সকাল থেকে তো ভিড় কম শুনছি।
তাহমিনা নামের আরেক পোশাক শ্রমিক বলেন, পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। লঞ্চে মোটামুটি সিট আছে। আশা করি, শান্তিতে বাড়ি যেতে পারবো।
রাজহংস লঞ্চের স্টাফ শাজাহান জানান, কিছুক্ষণ আগে আমাদের আরেকটি লঞ্চ রয়েল ক্রুজ-২ ঘাট ছেড়ে গেছে, যাত্রী ভালোই হয়েছে। তবে সকাল থেকে যাত্রী ছিল না, তাই লঞ্চ ছাড়তে কিছুটা দেরি হয়েছে। এখন রাজহংস ঘাটে আসছে। যাত্রী পরিপূর্ণ হলে ছেড়ে যাবে।
লঞ্চঘাটে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঘাটে লঞ্চ ভিড়েছে ১০০টি। এর মধ্যে ছেড়ে গেছে ৭৩টি। কিছুক্ষণ পরপরই লঞ্চ মালিকদের বাড়তি যাত্রী না নিতে এবং সময়মতো ছেড়ে যেতে সতর্ক করা হচ্ছে। ছাদে যাত্রী নেওয়া হলে জরিমানার বিষয়েও হুঁশিয়ার করা হচ্ছে লঞ্চমালিকদের।
সদরঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর টিআই হুমায়ুন বলেন, যেকোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের টিমও এখানে কাজ করছে, তারা লঞ্চগুলো ঘুরে দেখছেন। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।