ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২২, ১০:৪৯ এএম
সুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়। ফাইল ছবি
ডিম খেতে পছন্দ করেন সবাই। তবে অনেকেই ভয় পান রোজ ডিম খেলে কোনো সমস্যা হবে না তো। বিশেষ করে গরম বা বর্ষার সময়। তবে সুষম পুষ্টিকর ডায়েটের মাধ্যমে দেশে অপুষ্টি, রক্তাল্পতা ও ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য একাধিক গবেষণায় রোজ অন্তত একটা করে ডিম খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নারী ও শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ও রক্ত স্বল্পতার সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম পুষ্টিকর খাদ্যের কথা মাথায় রেখে বিজ্ঞানীরা মুরগির ডিম ডায়েটে রাখার কথা বলছেন।
পুষ্টির দিকে তাকালে, একটি ডিমে মোটামুটি ৭৫ ক্যালোরি, ৫ গ্রাম ফ্যাট, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭০ গ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে। এছাড়াও ডিম ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ১২-এর একটি বড় উৎস।
কিন্তু রোজ কী ডিম খাওয়া উচিত- কী বলছে বিজ্ঞান?
অনেকেই ভাবেন, ডিম খেলে বৃদ্ধি পায় কোলেস্টেরল। গবেষণা কিন্তু বলছে অন্য কথা। ডিমের কোলেস্টেরল অন্যান্য খাদ্য থেকে প্রাপ্ত কোলেস্টেরলের তুলনায় কম ক্ষতিকর। অনেকেই মধ্যবয়স পেরিয়ে গেলে কোলেস্টেরলের কথা ভেবে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন।
কিন্তু সম্প্রতি গবেষকদের একাংশ বলছেন, সুস্থ মানুষদের ক্ষেত্রে নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া খুব একটা বিপজ্জনক নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ ব্যক্তি খাদ্যের মাধ্যমে মোটামুটি দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল গ্রহণ করতে পারেন। কাজেই রোজ একটি করে ডিম খেলে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে মধ্যবয়স পেরিয়ে গেলে সপ্তাহে তিনটি ডিম খাওয়া যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
অনেকেই ডিমের কুসুম ফেলে দিয়ে সাদা অংশটা খান। তবে দিনে অন্তত দুইটা ডিম খেতে পারেন। তার বেশি ডিম খেলে সাদা অংশ শুধুমাত্র খেলে কোনো সমস্যা নেই। ডিম যত বেশি ভাজা হয় এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডিমের পোচ বা হাফ বয়েল খান। দরকার হলে ফুল বয়েল ডিমও খেতে পারেন। কিন্তু ডিমের অমলেট সপ্তাহে একবার।
তবে মনে রাখবেন, সবার শরীর সমান নয়। কাজেই কোনো অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে বা পুষ্টি সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ডিম খাওয়া উচিত।