মোদির গুজরাটে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ৬০০ মৎস্যজীবীর

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২, ১১:৫৯ এএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২২, ১২:০১ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

হাজার বছর ধরে ভারতের গুজরাট রাজ্যের পোরবন্দরে অঞ্চলে বাস মুসলিম মৎস্যজীবীদের, এখন তারা স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

পোরবন্দর— গোটা বিশ্ব যে জায়গাকে চেনে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জন্মভূমি হিসেবে। যে গান্ধী আজীবন সত্য-শান্তি-সম্প্রীতির জন্য লড়াই করে ছেছেন। তার জন্মভূমিতেই গুজরাটের বিজেপি সরকারের চূড়ান্ত বৈষম্যের অভিযোগ এনে ৬০০ মুসলিম মৎস্যজীবী স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছেন।

পোরবন্দরের গোসাবারা জলাভূমির মৎস্যজীবীদের নেতা আল্লারাখা ইসমাইল ভাই থিম্মার গুজরাট হাইকোর্টে গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) আবেদন করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিনে দিনে চরম খারাপ হয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের দলের পরিচালিত রাজ্য সরকারের বৈষম্য। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে জীবনধারণ করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তিনি ও তার সাথে ৬০০ জনকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিক আদালত।

হাইকোর্টে একই আবেদন জানানো হয়েছে, গোসাবারা মুসলিম ফিশারমেনস সোসাইটির তরফেও। ওই সংগঠনের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীরা সরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। ওই সম্প্রদায়ের মৎস্যজীবীদের কোনো রকম সরকারি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।

আবেদনে জানানো হয়েছে, ওই সম্প্রদায়টি ‘রাজনৈতিক নিপীড়নে’র শিকার। বিভিন্নভাবে স্থানীয় প্রশাসন তাদের হেনস্থা করেছে। এলাকার ১০০টি পরিবারের ৬০০ লোক মৎস্য ব্যবসার সাথে যুক্ত। মাছ ধরার জন্য তাদের মৎস্য দপ্তরের অনুমতিপত্রও রয়েছে। তা সত্ত্বেও গোসাবারা ও নভি বন্দরে তাদের নোঙর করতে দেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। 

২০১৬ সাল থেকে তাদের এই ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছে পোরবন্দরের ওই মুসলিম মৎস্যজীবীরা।

আবেদনকারী মৎস্যজীবীদের আইনজীবী ধর্মেশ গুর্জার বলেন, ২০১৬ সাল থেকে গোসাবারা বন্দরে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নৌকা চলাচল বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। অনুমতিপত্রেরও তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। 

থিম্মার অভিযোগ, হিন্দু মৎস্যজীবীদের সরকার সবরকম সুবিধা দিচ্ছে, অথচ তাদের দিকে কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না। তার কথায়, আমাদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মুসলিম মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, বার বার উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হলেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ তারা বেআইনি কাজকর্মের সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। বরং পাকিস্তানের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের গতিবিধি সম্পর্কে নিরাপত্তাবাহিনীকে সবসময় অবহিত করেন ও সহযোগিতা করেন।

বিরোধীদের তির্যক মন্তব্য, এটাই নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের গুজরাট মডেল। -আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh