চাঁদপুরে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২২, ০৬:০৮ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২২, ০৬:০৯ পিএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় রুপা বেগম (২৮) নামে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় নিহতের ছেলে রবিউল ইসলাম (১৪) পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।

আজ সোমবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকার দনপর্দ্দি গ্রামের মজিদ প্রদানিয়া বাড়ির দ্বিতল বিল্ডিংয়ের নিচতলা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ।

নিহত রুপা বেগম একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকার প্রধানিয়া বাড়ির নাছির দেওয়ানের স্ত্রী। তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী নাছির দেওয়ান পলাতক রয়েছেন। রুপা বেগমের বাবার বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে।

স্থানীয় বাসিন্দা লিটন হাজার বলেন, নাছির দেওয়ান স্ত্রী সন্তান নিয়ে মজিদ প্রধানিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি পেশায় রং-মিস্ত্রি। গতকাল রবিবার (৮ মে) রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা সংবাদ দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। কি কারণে এ ঘটনা কেউ এই মুহূর্তে বলতে পারছে না।

নিহতের ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, রাতের কোনো এক সময়ে হত্যা করা হয়েছে। সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে রুমে গিয়ে দেখি দরজা খোলা। ভেতরে ঢুকে দেখি, আমার মায়ের গলা কাটা লাশ পরে আছে। এরপর আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।

ছেলে রবিউল আরো জানান, বাবা-মাকে প্রায় সময় মারধর করতেন। গত মাসে আমার মা নির্যাতন সইতে না পেরে আগের ভাড়া বাসা থেকে চলে আসে এবং এখানে বাসা ভাড়া নেয়। এভাবেই প্রায় বাবা আমার মাকে নির্যাতন করতো। এখানে বাসা নেয়ার পর খবর পেয়ে গত দুদিন আগে বাবা আবার এখানে চলে আসেন।

এদিকে, সংবাদ পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পিবিআই ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল বলেন, মজিদ প্রধানিয়ার বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। আইনি ব্যবস্থাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh