তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে তৎপর হোন

আবদুল হক

প্রকাশ: ১০ মে ২০২২, ১১:৫৯ এএম | আপডেট: ১০ মে ২০২২, ১১:৫৯ এএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

লক্ষ করা যাচ্ছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলা আমদানির বিষয়ে সক্রিয় হলেও দেশে তেল-গ্যাস আবিষ্কারে আশানুরূপ সক্রিয় নয়। দুঃখজনক হলো, বাপেক্সের সক্রিয়তাও তেমন একটা দৃশ্যমান নয়। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কয়েকটি বিদেশি কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হলেও তারা তেমন সক্রিয় নয়। ফলে বিদেশ থেকে এখন অতিরিক্ত দামে এলএনজি আমদানি করে চাহিদা পূরণ করতে হচ্ছে। 

জানা গেছে, দেশে উৎপাদিত গ্যাসের চেয়ে আমদানি করা গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেশি। আমদানির ক্ষেত্রে দাম যত বাড়বে, ভোক্তা পর্যায়েও গ্যাসের দাম তত বাড়াতে হবে। প্রশ্ন হলো, এ অবস্থায়ও তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে পেট্রোবাংলা জোরালো কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে না কেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীর ব-দ্বীপ দেশগুলো তেল-গ্যাসসমৃদ্ধ। সেই হিসাবে বাংলাদেশে প্রচুর গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সীমানাবিষয়ক সমস্যা সমাধান হওয়ার পর মিয়ানমার ও ভারত তাদের সীমানায় সাগরে গ্যাস আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সাগরে জোরেশোরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু করতে পারেনি। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ সীমানায় প্রচুর উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের সম্ভাবনার বিষয়টি জরিপের মাধ্যমেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বর্তমানে আবিষ্কৃত ক্ষেত্রগুলোর উত্তোলনযোগ্য মজুত আগামী দশ বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাবে-এ বিষয়টিও ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। বর্তমানে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ এলএনজি উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে। এলএনজি আমদানি করে চাহিদা পূরণ করার বিষয়টি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যে দেশ থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, সে দেশ যে কোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অধিক অর্থের বিনিময়েও অন্য দেশ থেকে কাঙ্ক্ষিত সময়ে তা আমদানি করার বিষয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে। এমন জটিলতা এড়াতে জ্বালানি খাতে আমদানিনির্ভরতা কমাতে হবে।


আবদুল হক ধানমণ্ডি, ঢাকা

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh