ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি শামীম, সম্পাদক ইশতিয়াক

ফরিদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২২, ১২:২৪ এএম

বামে থেকে সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক আরিফ। ফাইল ছবি

বামে থেকে সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক আরিফ। ফাইল ছবি

অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক আরিফকে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ঘোষণা করলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুসারে নতুন কমিটির এই দুই নেতার নাম ঘোষণা করা হলো।

সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২১ জন পদপ্রত্যাশীর নাম ঘোষণা করেন। তাদেরকে নিজেরাই আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে একজন করে প্রার্থী চূড়ান্ত করার জন্য কিছু সময় দেয়া হয়। তবে তারা নিজেদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় নতুন নেতা নির্বাচনে সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর দায়িত্ব দেন। এরপর দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন কাজী জাফরুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

সম্মেলনের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রেসিডিয়াম মেম্বার ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান এমপি ও আব্দুর রহমান,  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কামাল হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য  শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু এমপি, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন ও একে আজাদ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন। সম্মেলনের প্রথম পর্বে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

সম্মেলনের উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সরকারের উন্নয়ন দেখে না তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখে। সরকারের উন্নয়ন তাদের চোখে পড়েনা। আওয়ামী লীগ নয় জনগণ মনে করে আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য নির্বাচনে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির নেতৃবৃন্দের পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমা লের  জনগণ চাতকের মতো চেয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষের দিকে বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ২য় পদ্মা সেতু তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

আগামী নির্বাচনে দলকে সংগঠিত করার উপর গুরুত্বারোপ করে কাদের বলেন, এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে হলে, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে, দেশের অর্জনকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। সংগ্রামী, সৎ ও পরীক্ষিতদের নেতৃত্বে আনতে হবে। যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে তাদেরকে কোনভাবেই নতুন কমিটিতে রাখা যাবেনা।

ফরিদপুরের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফরিদপুরে অনেক রক্তপাত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এর পুনরাবৃত্তি যেনো আর না হয়। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও অর্থপাচারকারীদের দলে স্থান দেয়া হবেনা। 

তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে গঠিত নয়া কমিটি দলকে সুসংগঠিত করে আগামী নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনেই আওয়ামী লীগের বিজয় ছিনিয়ে আনবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আধুনিক ও ইস্পাতের মতো শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। সংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং স্মার্ট নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, যারা নৌকার বিরোধিতা করেছে, নৌকার বিরুদ্ধে মদদ দিয়েছে তাদের বাইরে রেখেই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলন করতে হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh