ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২২, ০১:১৮ পিএম
প্রতীকী ছবি
ঘুষ আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাহ্যিকভাবে দুনিয়ার অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া গেলেও এর পরিণাম ভয়াবহ।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এ জাতীয় কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা পরস্পরে একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ কোরো না এবং এই উদ্দেশ্যে বিচারকের কাছে এমন কোনো মামলা কোরো না, যে মানুষের সম্পদ থেকে কোনো অংশ জেনে-শুনে গ্রাস করার গুনাহে লিপ্ত হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৮)
রাসুল (সা.) ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষকে অভিশাপ করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ঘুষদাতা ও গ্রহীতাকে অভিসম্পাত করেছেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৫৮০)
অন্য হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে ওঠে, তার জন্য দোজখের আগুনই উত্তম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৬১৪)
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আদি ইবনে উমাইরাহ আল-কিন্দি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, হে লোকেরা, তোমাদের মধ্যকার কোনো ব্যক্তিকে আমাদের সরকারি কোনো পদে নিয়োগ করার পর সে যদি আমাদের তহবিল হতে একটি সুঁই কিংবা তার অধিক আত্মসাৎ করে তবে সে খিয়ানতকারী। কিয়ামতের দিন সে তার এই খিয়ানতের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হবে। তখন কালো বর্ণের জনৈক আনসার ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি যেন তাকে দেখছি। সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিয়ে নিন। তিনি বলেন, তুমি কি বললে? সে বললো, আমি আপনাকে এরূপ এরূপ বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, আমি বলেছি, যাকে আমরা কোনো দায়িত্ব দিয়েছি, সে কম-বেশি যা কিছুই আদায় করে আনবে তা জমা দেবে। তা হতে তাকে যা প্রদান করা হবে সে তা নেবে, আর তাকে যা হতে বিরত থাকতে বলা হবে সে তা থেকে বিরত থাকবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৫৮১)
তাছাড়া হারাম ভক্ষণের ফলে মানুষের ঈমান-আমল নষ্ট হয়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেন, হে সাআদ, তোমার পানাহারকে হালাল করো, তবেই তোমার দোয়া কবুল হবে। (আল মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৬৪৯৫)