ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২২, ১১:১৮ এএম
ভারতে গ্রেপ্তারকৃত পি কে হালদার। ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালানো এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
আজ রবিবার (১৫ মে) ভারতের স্পেশাল সিবিআই কোর্টে এ রায় দেয়।
এর আগে ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৪ মে) পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের অর্থসংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)।
পি কে হালদারসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পি কেকে অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অশোকনগরে তিনটি বড় ভবন রয়েছে সুকুমার মৃধার। এলাকাবাসী তাকে মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চেনেন। তবে সুকুমার বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠজন বলে ইডির একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান।
অশোকনগরের স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, সুকুমার বেশ কয়েক বছর ওই অঞ্চলে বসবাস করলেও সম্প্রতি তাকে সেখানে দেখা যায়নি। তিনি অশোকনগর ছাড়াও কলকাতা লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় এমন অনেক জমিজমা কিনেছেন, যেগুলোর দাম ভবিষ্যতে বাড়বে। কলকাতা লাগোয়া দুটি নতুন বড় শহর রাজারহাট ও নিউটাউনের জমির দাম দ্রুত বাড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই ওই জেলায় এত জমিজমা কিনেছেন পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সুকুমার মৃধা।
পুলিশের সূত্রটি জানায়, গতকাল অন্তত ১৫ জন সরকারি কর্মী ও কর্মকর্তাকে ওই অঞ্চলে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় সঞ্জীব হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও জানা গেছে। সঞ্জীব সম্পর্কে সুকুমারের মেয়ের স্বামী বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে শুধু উত্তর চব্বিশ পরগনায়ই নয়, কলকাতা লাগোয়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও কলকাতায়ও এই দিন বিভিন্ন জায়গায় সুকুমার ও তার ঘনিষ্ঠদের বাড়ি-প্রতিষ্ঠানে তল্লাশি চালান ইডির কর্মকর্তারা। তল্লাশির পর সব জায়গাতেই মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন তারা। তবে বিষয়টি নিয়ে ইডির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি।