সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২২, ১২:০৭ পিএম
পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ১৫টি বসত বাড়ি ভেসে গেছে। ছবি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের করচার হাওরের উঁচু এলাকার ২৬ গ্রামের কৃষকের পাকা ধান ঢলের পানিতে ডুবে গেছে। পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ১৫টি বসত বাড়ি ভেসে গেছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিন্মাঅঞ্চল পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর, সোনাপুর, চাঁনপুর, গবিনপুর ও সাক্তারপাড় এই পাচঁটি গ্রামের প্রায় এক হাজার ৬০০ একর স্কীমের তীরে রাখা কাটা পাকা ধান বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
এদিকে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের কৃষকের প্রায় আট হাজার হেক্টর জমি রয়েছে করচার হাওরে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, হাওরের প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে সপ্তাহখানেক আগেই। কিন্তু উঁচু এলাকার জমির ধান এখনো রয়ে গেছে। এসব জমিতে বিআর ২৯ জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুরমা ও চলতি নদীর পানি বাড়ায় গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুটি অংশ ভেঙে ঢলের পানিতে ভাদেরটেক গ্রামের বসতভিটা ভেসে গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি-উর-রহিম জাদিদ বলেন, গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের দুটি অংশ পানির চাপ সামলাতে না পেরে ভেঙে গেছে। কিছু পরিবারের বসতভিটা ভেসে গেছে। পাকা ধান কেটে আনতেও কৃষি অফিস সহযোগিতা করছে। গত শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে গজারিয়া রাবারড্যামের পাশের সড়কের দুইটি অংশ ভেঙে এই বিপর্যয় দেখা দেয়। শনিবার সকালে উপজেলায় বসতভিটা হারানো পরিবারসহ ৫০ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।