ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২২, ০২:৫৩ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে মেধাবীদের জন্যে নানা সুবিধা ঘোষণা করেছে চীন সরকার। প্রতীকী ছবি।
বৈশ্বিক নেতৃত্বে আমেরিকাকে টেক্কা দিতে গোপনে বিভিন্ন দেশের মেধাবীদের নিজের দেশে ভেড়ানোর প্রকল্প নিয়েছে চীন।
আন্তর্জাতিক নিয়োগের নামে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের নেওয়া নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে দেশটি।
সম্প্রতি দ্যা হিলের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের মতো আর্থিক, প্রযুক্তি ও সামরিক খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পে সফল হতে চায় চীন।
তবে এজন্য আমেরিকা ও জো বাইডেন প্রশাসনকে আরো কৌশলী পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মেধাবীরা যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য আমেরিকাকে প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
১৯৫০ সালে চীন আরো একবার এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। সেসময় তারা পশ্চিমা দেশ থেকে শতাধিক বিজ্ঞানীকে নিজেদের দেশে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে এই বিজ্ঞানীরা এটোম বোম, ১৯৬৭ সালে হাইড্রোজেন বোম ও ১৯৭০ সালে চীনকে তারা প্রথম মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সহায়তা করে।
একইভাবে আন্তর্জাতিক নিয়োগ প্রকল্পের নামে ১৯৯৯ সালে তারা দুইটি বোম একটি স্যাটেলাইট প্রকল্প চালু করে।
এতে সফল হওয়ায় ২৩ জনকে পুরস্কৃত করে কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না (সিসিপি)।
সম্প্রতি দেশটি তুলনামূলক ২০০ মেধাবী ও হাজারের বেশি অতি মেধাবীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতি মেধাবী ৬ হাজার জনকে তারা নানা সুবিধা দিয়ে আসছে। এছাড়া শিক্ষা কোটায় অন্তত ৩৯০০ জনকে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে দেশটি।
এসব ঘটনাকে সামনে রেখে আমেরিকার প্রতি সতর্কতা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, মেধার অপব্যবহার রোধে তাদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে। চীন তাদের প্রকল্পে সফল হলে অর্থনীতি ও প্রযুক্তি খাতে তারা আমেরিকাসহ অন্য দেশকে আরো নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।