সিলেটে বন্যা, সিটি করপোরেশন কর্মীদের ছুটি বাতিল

সিলেট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২২, ০৭:৫১ পিএম

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী

বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও বন্যার্তদের সেবায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে ফিরে এ ঘোষণা দেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

নগরের পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমাতে নগর ভবনে জরুরি সভাও ডেকেছেন তিনি।

১৩ দিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে সিলেটে ফিরে নগরের একাধিক প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র।

তিনি বলেন, ‘সিলেট মহানগরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নগরের নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। খাবার পানির সংকট, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।

‘দ্রুত সময়ের মধ্যে প্লাবিত এলাকার পানিবন্দি মানুষের দোরগোড়ায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাঠানো হয়েছে। খাবার পানির সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। আরো আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হবে।’

তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসক দল কাজ করছে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান মেয়র আরিফুল।

তিনি বলেন, ‘অব্যাহতভাবে ঢল ও অতিবৃষ্টি হলে সুরমা নদী খনন ছাড়া কোনোভাবেই সিলেট নগরের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরেই নদী খননের বিষয়টি বলা হচ্ছে। কারণ, সুরমা নদী পানির ধারণক্ষমতা হারিয়েছে। খনন হলে মানুষের এই ভোগান্তি হতো না।

‘পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার মনু নদী খনন হওয়ায় মৌলভীবাজার শহর বন্যামুক্ত হয়েছে। সুরমা নদী খনন করা হলে সিলেট শহরও বন্যামুক্ত থাকবে।’

সিটি করপোরেশন জানিয়েছেন, পানিবন্দি মানুষকে ঠাঁই দিতে সিটি করপোরেশেনের সাতটি ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র।

অব্যাহত ঢল ও অতিবৃষ্টিতে গত ১১ মে থেকে সিলেটে বন্যা সৃষ্টি হয়। সিলেটের বেশিরভাগ এলাকাই এখন তলিয়ে আছে।

জেলা ত্রান ও দুর্যোগ বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, পানিবন্দি আছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh