নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২২, ০৮:৫৩ এএম | আপডেট: ২২ মে ২০২২, ১২:৪৬ পিএম
বাংলাদেশে হস্তান্তর করা তরুণীরা। ছবি : বেনাপোল প্রতিনিধি
বেঙ্গালুরুতে গত বছর পাচার, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। এছাড়া পাচারের শিকার আরো তিন তরুণীকে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শনিবার (২১) সন্ধ্যায় যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দলের কাছে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ভিক্টিমসহ তিনজনকে ডিএমপির জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তারা ঢাকার পথে আছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির একজন কর্মকতা বলেন, আজ রবিবার (২২ মে) হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে পাচার ও নির্যাতনের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। ওই তরুণী বেশ কয়েকটি ঘটনার সাক্ষীও। বাংলাদেশে দায়ের হওয়া মামলায় তিনি সাক্ষ্য দেবেন।
ভারতে ওই বাংলাদেশি তরুণীকে পাচার ও দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে সাত বাংলাদেশিসহ মোট ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
ওই রায়ে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া তানিয়া খানকে ২০ বছর এবং মোহাম্মদ জামালকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর দুই বাংলাদেশিকে ফরেনার্স অ্যাক্টে দোষী সাব্যস্ত করে ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগীসহ অভিযুক্তরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক, যারা ভারতে প্রবেশ করে বেঙ্গালুরুতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন।
গত বছরের ২৭ মে ২২ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই বেঙ্গালুরু পুলিশ তাকে কেরালায় শনাক্ত করে এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভারতের আসাম পুলিশ ভিডিওতে থাকা পাঁচ তরুণের ছবি প্রকাশ করে পুরস্কার ঘোষণা করে। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ঘটনায় দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মামলা হয়।