এম এম আরিফুল, নাটোর
প্রকাশ: ২২ মে ২০২২, ০৩:৩১ পিএম
নাটোরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল লাল লিচু। লিচুর ভারে নুয়ে পড়েছে বেশিরভাগ গাছ। চারদিকে লিচুর মিষ্টি মধুর ঘ্রাণ। গাছের ডালে ডালে ভিড় করেছে মৌমাছি।
গাছ থেকে নামানো হচ্ছে লিচু। আর সেগুলো বাছাই শেষে করা হয় আটি (বোটাসহ)। এরপর এসব লিচু ঝুড়িতে সাজিয়ে বিক্রির জন্য ভ্যানে করে নেওয়া হচ্ছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর বটতলার আড়তে। এ অঞ্চলের আবহাওয়া লিচুর জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায়, এখানে প্রচুর পরিমাণে লিচুর বাগান গড়ে উঠেছে। এখানকার লিচু রসালো ও স্বাদ বেশি হওয়ায় এর সুনাম রয়েছে সারা দেশজুড়ে। এ কারণে নাজিরপুর ইউনিয়নের কানু ব্যাপারীর বটতলার ২০০১ সালে গড়ে উঠে এক বিশাল লিচুর আড়ত। ফলে স্থানীয় অনেক যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগও হয়েছে।
গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে লিচু বাগান মালিক মো. জুনাইদ আহমেদ বলেন, আমার তিন বিঘা জমিতে ৩০টি গাছ রয়েছে। এ মৌসুমে লিচুর বেশ ফলন ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে লিচুর আকার ছোট হয়েছে। আড়তগুলোতে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা দরে লিচু বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক বলেন, এ বছর নাটোরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি না হওয়ায় লিচুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কৃষকরা গাছ থেকে লিচু সংগ্রহ শুরু করেছে। বাজারে ভালো দামও পাচ্ছে। জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় লিচুর আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এ অঞ্চলের লিচু বেশ রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় সারাদেশে পরিচিতি রয়েছে।