নোয়াখালীতে ব্যাংক কর্মকর্তার ৩০ বছরের কারাদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মে ২০২২, ০৭:৫২ পিএম

নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি

গ্রাহকের জমা টাকা আত্মসাতের মামলায় ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অফিসারকে (কাশিয়্যার) ৩০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান মোহাম্মদ রাসেদ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মাজার এলাকার মালেক ভবনের আবদুল মালেকের ছেলে এবং ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অফিসার (কাশিয়্যার)। 

আজ রবিবার (২২ মে) দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোরশেদ খান এ রায় প্রদান করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, হাসান মোহাম্মদ রাসেদ (৩৮) ফেনী শাখার সোস্যাশ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অফিসার (কাশিয়্যার) হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ব্যাংকের গ্রাহক রিজিয়া সুলতানার হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য গৃহীত ৯ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা দেওয়ার নিমিত্তে গ্রহণ পূর্বক গ্রাহককে জমা রশিদ প্রদান করিলেও গৃহীত টাকা গ্রাহকের হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।  সেই অভিযোগের আলোকে তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল ফেনী থানায় মামলা দায়ের করেন। দুদকের পক্ষে মামলাটি তদন্ত পূর্বক অভিযোগ পত্র দাখিল করেন দুদকের নোয়াখালীর তৎকালীন ডি.ডি জাহাঙ্গীর আলম।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বলেন, দুপুর ৩টার দিকে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান অভিযুক্ত আসামিকে পাঁচটি ধারায় মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড ও ২২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান মোহাম্মদ রাসেদ রায় শেষে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh