ওএমএসে বাড়ছে চালের বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২২, ১১:১৬ এএম

ওএমএসের চাল পেতে গ্রাহকদের লাইন। ছবি: সংগৃহীত

ওএমএসের চাল পেতে গ্রাহকদের লাইন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী অর্থবছরে খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) ব্যবস্থায় চালের বরাদ্দ বাড়াবে সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চলতি অর্থবছরের তুলনায় কমপক্ষে এক লাখ টন চালের সরবরাহ বাড়ানো হবে। আর আগামী অর্থবছরে চলতি অর্থবছরের সরবরাহকৃত সমপরিমাণ গম বরাদ্দ থাকবে। তবে সহজে গম সংগ্রহ করা সম্ভব হলে এর সরবরাহ বাড়ানো হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওএমএসে চালের সরবরাহ বাড়ানোর তথ্য নিশ্চিত করে খাদ্য বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান,  চলতি অর্থবছরে বাজেটে যে বরাদ্দ ছিল, তার চেয়ে এক লাখ টন চাল ও ৫০ হাজার টন গম বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। 

তিনি আরো জানান, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস খাতে চার লাখ ৭০ হাজার টন চাল ও চার লাখ ৬৪ হাজার টন গমের বরাদ্দ ছিল। সম্প্রতি চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ওএমএসের দোকানে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে নির্ধারিত বরাদ্দ দিয়ে পুরো অর্থবছরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। খাদ্য অধিদপ্তরের বিতরণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ১২ মে পর্যন্ত ওএমএসে চার লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮ টন চাল এবং চার লাখ ১৮ হাজার ৭২২ টন গম সরবরাহ করা হয়েছে।

ওএমএসে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়। একজন ক্রেতা দৈনিক সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে কিনতে পারেন। 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগরের বাজারগুলোতে স্বর্ণা, চায়নার মতো মোটা চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর প্রতি কেজি খোলা আটা বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৮ টাকা দরে।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য সহায়তা খাতে ভর্তুকি বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হতে পারে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে ১৮ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

খাদ্যশস্যের বাজারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধ করে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে মূল্য সহায়তা দেওয়া এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সরকার। সারাদেশে ডিলারের নির্দিষ্ট দোকান ও ট্রাকে করে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। একজন ডিলার প্রতিদিনের জন্য দুই টন চাল ও এক টন আটা বরাদ্দ পান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh