রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২২, ০৬:৫৫ পিএম
ফজলি আম। ছবি: সংগৃহীত
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে ফজলি আম নিয়ে দুই জেলার টানাপোড়নের অবসান হলো। আমটিকে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম’ হিসেবেই নতুন করে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) শুনানি শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের দপ্তর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী রবিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন।
তিনি জানান, ফজলি আমকে ঘিরে দুটি জেলার যে দাবি ছিলো সেটার সুরাহা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে শুনানি হয়। দুই পক্ষই নিজেদের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। সবদিক বিবেচনায় মন্ত্রণালয় ফজলি আমকে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।
তবে এই রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোনো পক্ষের আপত্তি না থাকলে দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ অক্টোবর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ স্বীকৃতি পায়। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছিলো। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক তাদের দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করে।
এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষ থেকে ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে এর বিরোধিতা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তর এই শুনানির আয়োজন করে। মঙ্গলবার (২৪ মে) রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম শুনানিতে অংশ নেন। এদিন বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই রায় ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।