শাহানা সরোয়ার
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২২, ১১:১১ এএম
শিশুকে ওয়াকার দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। ছবি: সংগৃহীত
শিশুরা একটু বড় হতেই উঠে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। দাঁড়াতে গিয়ে বার বার পড়ে ব্যথা পেতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওয়াকারের সাহায্য নিতে পারেন। এতে শিশু ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াতে পারবে, হাঁটাও শিখে যাবে দ্রুত।
কখন দেবেন ওয়াকার
শিশুকে ওয়াকার দেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। শিশুর শক্তি, শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠনের ওপর নির্ভর করে এটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাজারে সাধারণত ৪ থেকে ১৬ মাস বয়সী শিশুদের জন্য ওয়াকার পাওয়া যায়। এছাড়া শিশুর মাথা সোজা করে থাকার দক্ষতা এবং ওয়াকার চলার সময় পা মেঝেতে রাখার বিষয়টি ঠিক থাকলেই ওয়াকার দেওয়া যাবে।
বেবি ওয়াকার ব্যবহারের সুবিধা
বেশির ভাগ ওয়াকার পুতুলসহ নানারকম আকর্ষণীয় জিনিস দিয়ে সাজানো থাকে। এতে শিশু ওয়াকারের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হয়। ওয়াকার নিয়ে খেলতে ভালোবাসে। এ জন্য শিশুকে ওয়াকার দিয়ে ব্যস্ত রেখে খুব সহজেই মা-বাবা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সেরে ফেলতে পারেন। এছাড়া শিশুর মানসিক উন্নতি ও দেখার বিষয়েও ওয়াকারের নান্দনিক ডিজাইন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ওয়াকার পেলে শিশু নিজে থেকেই হাঁটতে উৎসাহী হয়। এর গঠনই এমন যে পড়ে যাওয়ার কিংবা ব্যালান্স হারানোর ভয় থাকে না। এতে শিশু নিজ থেকেই বুঝতে পারে কীভাবে দাঁড়াতে ও হাঁটতে হয়। ফলে সে নিজে থেকেই চলার চেষ্টা করে।
কিছু সতর্কতা
বেবি ওয়াকার ব্যবহারে শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন- বেবি ওয়াকারে থাকা শিশুরা না-থাকাদের চেয়ে একটু বিলম্বে হাঁটতে শেখে। বেবি ওয়াকারে হাতল, বসার সিট থাকে। এসব সুবিধা শিশুদের সাধারণ কিছু শারীরিক উন্নতি রোধে প্রভাব ফেলে। বেবি ওয়াকারের সীমার বাইরে থাকা কোনো কিছু ধরতে গিয়েও শিশুদের আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কখনো কখনো ওয়াকারের ফোল্ডিং অংশে শিশুর হাত ও আঙুল লেগে চিরে যাওয়ার ভয় থাকে। ওয়াকারের চাকার কারণে হঠাৎ ঢালু দিকে গতি বৃদ্ধি পেয়ে শিশু আহত হতে পারে। তবে সিঁড়ি ও পানির কাছাকাছি ছাড়া মসৃণ, সমতল ও খোলামেলা স্থানে শিশুকে ওয়াকার নিয়ে খেলতে দিলে এ ধরনের শঙ্কা নেই বললেই চলে।
কোথায় পাবেন, কেমন দাম
বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেটসহ ঢাকার ছোট-বড় সব মার্কেটেই বেবি ওয়াকার পাওয়া যায়। দাম পড়বে ডিজাইন ও মানভেদে ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা।