মার্কিন আগ্নেয়াস্ত্র আইন নিয়ে ফের সরব বাইডেন

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৬ মে ২০২২, ১২:৪৫ পিএম

টেক্সাসের ইউভ্যালডির একটি প্রাথমিক স্কুলে গুলিতে ১৮ শিশু নিহত হয়েছে। ছবি : এপি

টেক্সাসের ইউভ্যালডির একটি প্রাথমিক স্কুলে গুলিতে ১৮ শিশু নিহত হয়েছে। ছবি : এপি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এক স্কুলে বন্দুকধারীর আক্রমণে ২১ জনের মৃত্যুর পর ফের মার্কিন আগ্নেয়াস্ত্র আইনের সাংবিধানিক ব্যাখ্যা নিয়ে মুখ খুললেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেন, এরপরেও যদি আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংশোধন করা না যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। বন্দুক রাখার অধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তারা সংবিধানের দোহাই দেন, কিন্তু সংবিধান যেকোনো অস্ত্র রাখার অধিকার দেয় না। সংবিধান ও আইন বরাবরই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছে। 

বস্তুত, ১৭৯১ সালে অস্ত্র আইনের প্রসঙ্গ টেনে বাইডেন বলেন, সেখানেও নাগরিকদের কামান রাখার অধিকার দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ, সংবিধান অস্ত্র রাখার অধিকার দিলেও তা নিয়ন্ত্রণের কথাও বলেছে।

মার্কিন অস্ত্রের লবি খুব শক্তিশালী। কয়েকদিনের মধ্যেই অস্ত্র লবির সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের টেক্সাসে সম্মেলন হওয়ার কথা। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন টেক্সাসের রিপাবলিকান পার্টির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা। এছাড়াও গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট, সেনেটর টেড ক্রুজ, জন করনিনের ওই সভায় বক্তৃতা করার কথা। অস্ত্রের অধিকারের পক্ষে কথা বলেন তারা।

টেক্সাসের ইউভ্যালডির একটি প্রাথমিক স্কুলে গুলির ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (২৪)। ১৮ বছরের এক তরুণ গায়ে বুলেটের বেল্ট লাগিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সে ছাত্রছাত্রীদের হত্যা করে। ঘটনায় ১৮ জন শিশু নিহত হয়েছে। মোট মৃত ২১। এর আগে বাড়িতে নিজের দাদিকেও গুলি করে হত্যা করে ওই যুবক। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। গুলি চালানোর কারণ এখনো অস্পষ্ট।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) মার্কিন সিনেটে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি বিতর্ক হওয়ার কথা। মার্কিন কংগ্রেস থেকে বিষয়টি সিনেটে পৌঁছেছে। নিউইয়র্কের বাফেলোতে গুলির ঘটনার পর এই বিতর্কের পরিকল্পনা করা হয়। তারই মধ্যে টেক্সাসের স্কুলের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

টেক্সাসের ঘটনার পরেও অস্ত্রের অধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তাদের মানসিকতা বদলায়নি। টেক্সাসের গভর্নর জানিয়েছেন, যে তরুণ ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তার মানসিক সমস্যা ছিল। সে কারণেই সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সাথে অস্ত্রের অধিকারের কোনো সম্পর্ক নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের প্রচারের অন্যতম বিষয় ছিল অস্ত্র আইনের পরিবর্তন। ক্ষমতায় এসে তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের একটি বিলও আনেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় তা আইন হতে পারেনি। এর আগেও ডেমোক্র্যাটরা অস্ত্র আইনের সংশোধন চেয়েছে একাধিকবার। কিন্তু রিপাবলিকান ও অস্ত্র লবি তা কখনোই মানতে চায়নি। -ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh