নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২২, ০১:৩৫ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
রপ্তানির অর্থ দেশে আনার একদিন পরেই তা নগদায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থাৎ রপ্তানি বিল পাওয়ার পর দিনই ব্যাংক ও রপ্তানিকারককে এ অর্থ নগদায়ন করতে হবে।
গতকাল সোমবার (৩০ মে) এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নতুন নির্দেশনা প্রদান করেছে। ইতোমধ্যে চিঠির মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেশের ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুসারে, রপ্তানি বিল নগদায়নে গ্রাহকের ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় সমন্বয়ে যে অর্থ লাগবে, তা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। আর আবশ্যিকভাবে রপ্তানিকারককে ব্যাংকের মাধ্যমেই রপ্তানি বিল ভাঙাতে হবে।
প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় থেকে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ সিঙ্গেল পুলে সংরক্ষণ করতে হবে। সিঙ্গেল পুল বা খসড়া হিসাব ধরে আলাদাভাবে সংরক্ষণের আগেই স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ নগদায়ন করতে হবে।
অপর আরেকটি প্রজ্ঞাপনে অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসনে করণীয় বিষয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অন্য ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয় প্রত্যাবাসন কিংবা অন্য ব্যাংক বা অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে রপ্তানি বিল বৈদেশিক মুদ্রায় ডিসকাউন্টিং করলেও ওই বৈদেশিক মুদ্রা রপ্তানিকারকের ব্যাংকে স্থানান্তর করতে হবে। বায়িং এজেন্টের মাধ্যমে রপ্তানি বিল প্রত্যাবাসনেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এ বিষয়ে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, কেউ হয়তো ১০০ ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেন। এ পরিমাণ রপ্তানির জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে তার হয়তো ৬০ ডলারের দায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ওই ৬০ ডলার সিঙ্গেল পুল তথা খসড়া হিসেবে আলাদাভাবে সংরক্ষণ করবে। এখান থেকে পরে প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রাহকের পক্ষে দায় পরিশোধ করবে ব্যাংক। বাকি ৪০ ডলার ব্যাংকের হিসাবে জমা হওয়ার একদিনের মাথায় নগদায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, কয়েকজন রপ্তানিকারক রপ্তানি বিল পাওয়ার পর ডলারের ধরে রেখে দর কষাকষি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকও যথাসময়ে গ্রাহকের দায় পরিশোধ না করে ডলার ধরে রাখছে। এতে করে বাজারে সংকট তৈরি হচ্ছে। এ সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।