কৃষি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে বৈঠক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২২, ০৮:২৮ এএম

ড্রোন ব্যভহার করে একটি জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ড্রোন ব্যভহার করে একটি জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ও কৃষি সাংবাদিকরা গত সোমবার (৬ জুন) একটি আঞ্চলিক মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠকে কৃষি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের সহযোগিতায় ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এ বৈঠকের আয়োজন করে।

‘কৃষি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক ওই গোলটেবিলে টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রমাণ-ভিত্তিক জ্ঞান ভাগাভাগি এবং অবহিত নীতি-সিদ্ধান্তের ওপর জোর দেওয়া হয়। এসময় কৃষি জৈবপ্রযুক্তি এবং প্রাসঙ্গিক নীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে আয়োজিত পূর্ববর্তী দেশ-নির্দিষ্ট ‘ভার্চুয়াল ট্যুর’ অনুসরণ করে এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া তিন দেশের সাংবাদিক, কৃষক ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা উৎসাহিত করা, যেন কৃষি জৈবপ্রযুক্তির সুবিধা ও গুরুত্ব সম্পর্কে জনসাধারণকে শিক্ষিত করে তোলাই এ বৈঠকের উদ্দেশ্য।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লা-ফেইভ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও তথ্য-ভিত্তিক সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের দর্শক-শ্রোতা ও অংশীজনদের কাছে পৌঁছাতে এবং কৃষি জৈবপ্রযুক্তি ও কৃষি উদ্ভাবন সম্পর্কিত ভুল ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধি, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও পুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলা এবং ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে প্রমাণিত ও কার্যকর হাতিয়ার যোগান দেয় জৈবপ্রযুক্তি।’

কৃষি বিষয়ক গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞেরা সেখানে অন্য বক্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং ভোক্তাদের কাছে জিন প্রকৌশলের সহায়তায় উৎপাদিত শস্যের গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকর বিপণন নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। জিন-সম্পাদিত (জিন এডিটেড) শস্য সম্পর্কে তথ্য ও মিথের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, ভোক্তারা যেন তা ধরতে পারেন - সে জন্য আরও গবেষণা-ভিত্তিক কাজ প্রকাশের ওপর জোর দিয়েছে দলটি।

অনুষ্ঠানে, অতিথিদের বক্তব্য শেষে একটি প্রশ্নোত্তর সেশন ছিল। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত বিনিময় করেন এবং কৃষি উদ্ভাবন ও টেকসই কৃষি চর্চাকে এগিয়ে নিতে নানা ধরনের উপায় প্রস্তাব করেন। 

এই গোলটেবিল আলোচনায় ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের সিইও ও নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন সঞ্চালনা করেন। আর ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞেরা নিজ নিজ দেশে কৃষি জৈবপ্রযুক্তির কার্যকর প্রয়োগ সম্পর্কে কারিগরি উপস্থাপনা তুলে ধরেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh