এবারো করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ০৪:৪৪ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আসন্ন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা অপরিবতর্তি রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরেও করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল মাত্র এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। পরবর্তী অর্থবছরেও আয়ের সীমা বহাল রাখা হয়েছে। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা, তৃতীয় লিঙ্গ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা বেশি। 

তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে স্টক মার্কেটে নন-লিস্টেড কোম্পানির করহার ছিল ৩৭.৫ শতাংশ, যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে দেশে একটি শক্তিশালী কর সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অব্যাহতভাবে করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব কর নীতি অনুসরণ করে চলেছে। এ নীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ক্রমান্বয়ে করের বোঝা কমিয়ে অর্থনীতিতে বিনিয়োগের পরিমাণ এবং কর জিডিপির অনুপাত বাড়ানো ও করদাতাদের মাঝে কর প্রতিপালনের আগ্রহ বৃদ্ধি করা।

তিনি আরো বলেন, অনুসৃত করনীতির আলোকে ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত স্টক মার্কেটে লিস্টেড কোম্পানি এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ২৭.৫ শতাংশ ও ৪২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ২২.৫ শতাংশ ও ৩৭.৫ শতাংশে হ্রাস করা হয়েছে। 

সরকারের এই যুগোপযোগী কর নীতির ফলে করদাতাদের মধ্যে যেমন কর পরিপালনে আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তেমনই দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পরিমাণও বেড়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh