মৌসুমি ফলের পুষ্টিগুণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২২, ০২:১২ পিএম

কাঁঠাল। ফাইল ছবি

কাঁঠাল। ফাইল ছবি

আম, কাঁঠাল, লিচুর মৌসুম চলছে এখন। সেই সাথে তালের শাঁসের কদর রয়েছে এখন।

এদের পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া যাক

কাঁঠাল

কাঁঠালে চর্বি বা কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুব কম। এতে থাকা ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, রাতকানা ও অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ‘সি’ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে। পর্যাপ্ত বিটা ক্যারোটিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড় সুস্থ রাখে এবং ত্বক সুন্দর করে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ ও বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।

লিচু 

লাল টুসটুসে রসাল ও মিষ্টি লিচুর স্বাদ এই গরমে আরাম দেয়। রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ত্বকের সুরক্ষাতেও লিচু দারুণ কার্যকর। বেশি পরিমাণে চিনি ও কার্বোহাইড্রেট থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত লিচু খাওয়া ক্লান্তি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পেটের চর্বিও কমাতে পারে। লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের একটি উপাদান। যা শরীরকে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যাদের শরীরে রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে, তারা প্রতিষেধক হিসেবে লিচু খেতে পারেন। লিচুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। লিচুর রসের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে কাজ করে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আম

জানেন তো, পটাশিয়ামের ভালো উৎস হিসেবে আমের বেশ খ্যাতি রয়েছে! হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে আম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমের ভূমিকা অগ্রগণ্য। ভিটামিন সি, এ, বি, রিভোফ্লোবিন, নায়াসিন, থায়ামিন থাকার কারণে আম অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আমে থাকা ক্যারোটিন, এস্ট্রাগ্যালিন, ফিসেটিন, গ্যালিক অ্যাসিড ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমে রয়েছে উচ্চ পেকটিন আঁশ। পেকটিন মূত্রথলির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমে ফ্যাটের পরিমাণ খুব অল্প। তাই ওজন নিয়ে চিন্তা না করে, নিশ্চিন্তে আম খান। তবে আম কখনো দুপুর কিংবা রাতের খাবারের সাথে খাওয়া উচিত নয়। বরং সকালের মধ্যভাগে কিংবা সন্ধ্যায় নাশতা হিসেবে খাওয়া ভালো।

তালের শাঁস

গরমে তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সেই সাথে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু গ্রীষ্মকালেই বাজারে কচি তাল দেখতে পাওয়া যায়। এর নরম কচি শাঁস খেতে ছোট বড় সবাই পছন্দ করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ উপাদান থাকে। তালের কচি শাঁস এবং এর ভেতরের মিষ্টি পানি তৃষ্ণা মিটিয়ে শরীরে এনে দেয় আরামদায়ক অনুভূতি। এছাড়া এ সময় তাপমাত্রার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়া ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে এটি। অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে যে পানি বেরিয়ে যায়, তা পূরণ করতে সাহায্য করে তালের শাঁস। পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা এবং হজমের সহায়ক হিসেবে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে তালের শাঁস। এটা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আলসার ও অ্যাসিডিটি দূর করতেও সাহায্য করে এটি। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh