কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২২, ০৪:৪১ পিএম | আপডেট: ১৪ জুন ২০২২, ০৩:২৪ পিএম
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের বের হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ আর শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা পাবে না। তবে ২০২৬ সালের পর আরো কয়েকবছর এই সুবিধা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল রবিবার (১২ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতি নির্ধারণী ফোরাম পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হয়। সংস্থার সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রথম দিনের বৈঠকে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এলডিসির পক্ষ থেকে ডব্লিউটিওতে দেওয়া শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধার প্রস্তাব বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মৎস্যখাতের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই খাতে ভর্তুকি দেয়াটা জরুরি। অনেক উন্নয়নশীল দেশের বিপুল সংখ্যক গরিব মানুষ তাদের জীবিকার জন্য মৎস্য খাতে জড়িত। তাই স্বল্পোন্নত দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা টিকিয়ে রাখার জন্য মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুযোগ রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ঘাটতি দেখা যাচ্ছে উল্লেখ করে টিপু মুনশি জানান, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের উপর হঠাৎ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ ঠিক হবে না। রপ্তানি বন্ধ করতে হলে আমদানিকারক দেশকে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটা সময়ের আগে তা জানাতে হবে। হঠাৎ করে খাদ্যজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ করার কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি হ্রাসে এলডিসিভুক্ত দেশকে সরকারি পর্যায়ে বড় আকারে খাদ্য মজুত করার মতো সুযোগ রাখা প্রয়োজন। কৃষিসহ ডব্লিউটিও’র অন্যান্য যেকোনো সংস্কার বাংলাদেশ সমর্থন করবে। সংস্কার অবশ্যই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বচ্ছ হতে হবে, যেখানে সবার মতামত দেয়ার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি সদস্যের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এমসি-১২ সম্মেলনের প্রথম দিনে ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো আইওয়ালা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্য সংকট বিশ্বের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলডিসি উত্তরণের পরবর্তীতে চলমান বাণিজ্যিক সুবিধা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি হঠাৎ করে খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ না করাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সদস্য-দেশগুলোকে ঐক্যমতে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডব্লিউটিও’র ১৬৪ দেশের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।