নাজমুস সাকিব, পঞ্চগড়
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২২, ০৩:৫৫ পিএম
ব্ল্যাক রাইস প্রজাতির ধান। ছবি: পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ঔষধি গুণসম্পন্ন ব্ল্যাক রাইস প্রজাতির ধানের চাষ শুরু হয়েছে। এ ব্ল্যাক রাইস ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা সদর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সীমান্ত সংলগ্ন ইসলামবাগ গ্রামে এ ধান চাষ করে সবার দৃষ্টি কেড়েছেন ঢাকা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করা শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলাম সুষম। অন্যান্য আধুনিক ধান চাষের মতোই প্রথমবার এ ধান চাষ করেছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, করোনাকালে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে বাবার ৬০ শতক জমিতে ব্ল্যাক রাইস ধানের চাষ করি। গ্রামের বাড়ির পাশে একটি জমিতে গত জানুয়ারি মাসের শেষে দিকে এই ধান রোপণ করি। কিছু দিনের মধ্যেই এ ধান কেটে মাড়াই করব। এ কালো ধানের চাষ এবং উপকারিতা শুনে অনেক কৃষকই এ ধানের বীজ সংগ্রহের জন্য অনেক আগে থেকে বলে রেখেছেন। মাত্র ৩ মাসের মধ্যে প্রত্যেক গাছেই প্রচুর পরিমাণে ফলন ধরে।
তিনি আরো জানান, ২ বিঘা জমিতে উৎপাদিত এই ধান লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোঁজ নিয়ে ঢাকার গাজীপুর থেকে এ কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দশ প্রকারের কালো ধান চাষ হয়। তবে আমি তিন প্রকারের ধান চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি জমিতে ১৫-১৮ মণ ধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্য যদি আকর্ষণীয় হয় এবং চাহিদা যদি থাকে তাহলে আগামীতে ব্ল্যাক রাইসের চাষ আরো বৃদ্ধি করব।
স্থানীয় চাষিরা জানান, এ ধান দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অনেকে। ফলন ভালো এবং দামি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরাও এ ধান চাষের উদ্যোগ নিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্ল্যাক রাইস একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধান। এ ধান সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। বর্তমানে এ চালের চড়া মূল্য হলেও চাষাবাদ বেশি হলে দাম কমে আসবে। ব্ল্যাক রাইসকে বর্তমানে পৃথিবীর নতুন সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ধানের চাল উৎপাদন করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে তা দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।